কামিনী মেয়ে
----মোহাম্মদ হাসানুর রহমান


বেঘুম শয়নে একা কার পথ চেয়ে
ধাওড়ায় প্রতীক্ষমান কামিনী মেয়ে।
সাঁই সাঁই বয়ে যায় ঝরনার জল
আনমনে ভাবে বসে চোখ ছলছল।


সাজিতে সাজায়ে সফেদ তাজা ফুল
খোপায় শিউলিমালা, কানে কড়িদুল
গৌরী নয় সে সুডৌল সুকেশী
তনিমায় আকৃষ্ট হয় ধনী দুরাচারী।


আসে নাকো সুখাবহ, আসে ধামালি
ফুসলায়ে নিয়ে যায় কীট-কুট্টনী
রাতভর উল্লাসে মাতাল কুলীন
খুবলায়ে নিংড়ায়ে করে ছিনভিন
জোর করে বাহু বলে করে তারে রিক্ত
ঝরণায় ধুয়ে যায় কামিনীর চিত্ত।


কলঙ্কমালা গলে কামিনীর মেয়ে
কুলাটা ব্যঙ্গ করে সভাসদ কুলীনের দলে।
ন্যায়-নীতি অর্থে বায়েত, প্রতিপত্তি জয়ী
নির্যাতিত তবুও সে সর্বক্ষেত্রেই দায়ী।
চারিদিকে সোরগোল পাপিষ্ঠ ও বেহায়া
নির্লজ্জ সে এ সমাজে বড়ই অপয়া।
ঠাঁয় হয় কৃষ্ণার গণিকার বেশে
সভামঞ্চে পুস্পবৃষ্টি, দূরাচার মান্যবর হাসে।