কেউ ঘর ছাড়ে না
      যতক্ষন না বাড়িটা হয় শার্কের মুখ
আমি তখনি বর্ডারের দিকে হাঁটি
     যখন চোখের সামনে গোটা শহর একই দিকে ছুটছে... আমার পাশের বাড়ির বাচ্ছাটা আমার চেয়েও জোরে দৌড়চ্ছে ... নিস্বাসে গলা পর্যন্ত রক্তের গন্ধ...
স্কুলের যে ছেলেটা ঢোলা চোখে চুমু খেয়েছিল আমায়
    পুরনো ফ্যাক্টরিটার পেছনে
  হাতে ওর শরীরের চেয়ে লম্বা বন্দুক ।
আমি  কেবল তখনি ঘরছাড়া হই
  যখন ঘর আমার পেছনে তাড়া করে বেরায়
পায়ের নিচে আগুন
পেটে গরম রক্ত
এটা আমি কোনকালে ভাবিনি
যতক্ষন না ব্লেড আমার গলার দিকে ধেয়ে আস...
আর তখনও আমার শ্বাস প্রশ্বাসের নিচে ঘর খোঁজে জাতীয়সঙ্গীত
নিস্চিত হতে ভিনদেশি এয়ারপোর্টের বাথরুমে পাসপোর্ট ছিঁড়ি ।
তুমি হয়ত বুঝতে পারবে যে
কেউ তার শিশুকে বোটে তুলে দেয়না
যতক্ষন না জল মাটির চেয়ে সুরক্ষিত মনে হয়
কেউ হাত পোড়ায় না
ট্রেনের নীচে
কেউ দিন রাত ট্রাকের পেটে কাটায় না
খবরের কগজে খায় না
কেউ কাঁটা তারের খাঁজে আটকাতে চায়না
কেউ দয়া চায় না
কেউ রিফিউজি ক্যাম্প বেছে নেয়না
কিংবা এমন কিছু খোঁজেনা যা শরীরটাকে জেলে ফেলে রাখে
যতক্ষন না জেল খানাকে সুরক্ষিত মনে হয়
                       নিজের দেশের ট্রাক ভর্তি আর্মড লোকগুলর চেয়ে ।
যারা কেউ কেউ আমার  আব্বার মতন দেখতে ।
কারো চামড়া এতটা মোটা হয়না যে সহ্য করবে
ফিরে যাও
কালো মানুষ
রিফিউজি
নোংরা ইমিগ্র্যান্ট
নিজের দেশ খেয়ে আমাদের খেতে এসেছ
কেউ লাঠির আঘাতে নিজের শিশুর হাড় গুড়ো হওয়া দেখতে পারেনা
সবাই দেশ ফিরতে চায় ...
দেশ ?!!!
শার্কের মুখ
দেশ বন্দুকের ব্যারেল


যতক্ষন না দেশ আমায় বলে
আরো জোরে পা চালাও
নিজের বস্ত্র ছাড়ো
মরুভুমিতে শুকাও
সমুদ্রে ভাসো
ডোবো
বাঁচাও
খিদেয়  জ্বলো
ভিক্ষে কর
ভুলে যাও সব
তোমার বেঁচে থাকাটা অনেক বেশি গুরুত্বপুর্ণ।
কেউ ঘর ছাড়েনা
যতক্ষন না দেশ ঘামে ভরা  গলায় আমার কানে  বলে
পালাও
আমার থেকে দুরে এখনি যাও
আমি জানিনা এ কেমন সাজ আমার
কিন্তু আমি জানি
যেকোন যায়গা
এখানকার চেয়ে সুরক্ষিত ।