নিজেকে নিজের কাছেই বড়ো অচেনা লাগছে,
আয়নার প্রতিফলনেও যেন নিজেকে চিনতে পারি না আজকাল।
জমিয়ে রাখা দীর্ঘশ্বাস আর দুঃখের ভার
দিনের পর দিন কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে মনটাকে।
হৃদয়ের প্রতিটি কোণে এক অজানা শূন্যতা,
যেন ব্যথারও ভাষা হারিয়ে ফেলেছে।
নিতান্ত বেদনাময় এই সময় —
যেন প্রতিটি মুহূর্ত কাটে কাঁটার উপর হাঁটতে হাঁটতে।
সময়ও আর সঙ্গ দিতে চায় না,
নীরবতা চারপাশে এক বিষণ্ন ঘেরা দেয়াল তুলে রেখেছে।
একা বলেই কি এই অন্ধকারে পড়ে আছি আমি?
এই ঘরটা — এই জীবনটা —
কী এমন অপরিচিত কুঁড়ে ঘরে এসে দাঁড়িয়েছি আজ?
যেখানে এসে থেমে যায় সততা,
ভালোবাসা যেখানে নিঃশব্দে আত্মহত্যা করে।
মানুষগুলো মুখে হাসে, মনে রাখে বিষ,
সবকিছু আজ কেমন যেন অস্পষ্ট,
অনুভূতিগুলো অসাড় হয়ে গেছে।
উন্মাদনার কোনো সীমা থাকে না এখন,
সবকিছু যেন ছন্দহীন, নিরবধি বেহাল।
ভাবি, কেবল অবচেতন মনে
এই জমে থাকা কষ্টগুলোই রয়ে গেল গোপনে...
বলে উঠতে পারিনি, লিখে ফেলেছিলাম — কবিতার পঙ্ক্তিতে।
সে কি সত্যিই পড়েনি আমার কবিতাগুলো?
পড়লে কি বুঝতে পারতো নীরব শব্দহীন ভাষা?