শিকড় চুষে খায়, আত্মার বিস্মৃত জল,
অভিনব শূন্য পায়ে চলে, ভাঙাচোরা গোলকধল,
অস্তিত্বের প্রশ্নগুলি জমে পুরনো পৃষ্ঠায়,
জীবন নীল অক্ষরে লেখা শব্দের নয় ছয়।
অদেখা ছায়ারা খোঁজে ফের, হারানো উৎসের গান,
সময়ের অবিশ্বাসে ঝরে, অনিঃশেষ অভিমান,
স্বপ্নেরা বুনে যায় ক্লান্তি, শূন্যতার হেমন্তরঙ্গে,
দেহের অলিন্দে বাজে, নিঃশ্বাসের গোপন রাগ।
আলোকের নিচে লুকিয়ে থাকে, বিস্মৃত এক মহাকাশ,
ঘুমন্ত কালের গর্ভে জমে, অনস্তিত্বের ইতিহাস,
নৈঃশব্দ্যের পাখায় উড়ে, স্মৃতিরা ঝরে ঝরে,
ভাঙা প্রার্থনায় বাজে, অদৃশ্য জনমঘণ্টা ধরে ধরে।
নিস্তব্ধতার খরায় পুড়ে, অপরাধী চেতনা,
আকাশের অতল শূন্যে ভেসে যায় শেষ দিশা,
দেহের জঠরে জেগে ওঠে, মূক নক্ষত্রের হাঁসফাঁস,
মৃত্যুর সীমানা ডাকে, পুনর্জন্মের অপরাহ্ণ।
শেষেরও পরে থাকে কিছু, অনামা কোনো আলো,
বিলীন অস্তিত্বের ভেতর জেগে উঠে নব-চাওয়া,
যেখানে নাই শব্দের লিপি, নাই কালের অবশিষ্ট,
শুধু নিঃসীম নীরবতা, চিরস্থায়ী আশ্রয়।