সমাজের কালসাপ ফণা তুলে বসে আছে আজ
ছোবল হানতে পারে সত্যবাদী যুধিষ্ঠির পারে;
এখন লুকায় সত্য অমানিশা ঘোর অন্ধকারে,
করেছে যে মিথ্যাবাদী এই পৃথ্বী বুকে লয়ে রাজ।
পৌরাণিক দেবতারা কিবা মিশরের রাজা ছিলো
ফেরাউন, নমরুদ তাদের এ ইতিহাস বলে;
করাল সভ্যতা আজ রাষ্ট্রের সৃষ্টির কথা দ'লে,
তাই বুঝি গণতন্ত্র হাসছে লাগিয়ে খিল দিলো।


আকর্ণব্যাপক নাদ করেছে যে প্রবল চিৎকার
আমার গলাতে জাগে সুতীব্র চিৎকার আজ বেগে;
শুনি নিজ কানে তার ধাঁর
আমার চিৎকারে যদি আশা জাগানিয়া লোকে জাগে।
সেই ভাষণের স্রোতে উন্মাদনা মেখে হই কবি
এঁকেছি দুর্নীতি আজ;
আমার এ ক্যানভাসে মোনালিসা মুছে আঁকি ছবি
যুগসঞ্চিত গ্লানিকে মেখে করি নিজ কারুকাজ।


দেখি আজ নিজেকেই লাগছে বিষভ এক প্রাণ
ক্ষ্যাপা তাড়নার বেগে আঘাত করেছি আমি সাপে;
ছোবল হানতে চায় কালকূট মেখে দিতে জান
রয়েছে বেষ্টনী তাই আমার চৌদিকে আছি চাপে।
আমার ইচ্ছেগুলোর ভাগ
ম্রিয়মাণ হয়ে যায় দি-বিভক্ত হয়ে দেখে খেলা;
হৃদয়কে বলি আমি এইবার এসে তুই জাগ
কতো নেবো অত্যাচার আমার নিজের এই বেলা।


মাঝে মাঝে মনে হয় পরাবাস্তব জগত টানে
আবার লেগেছে ঢিলা;
আমার আত্মজা আর সুতের চিৎকার আসে বানে
মৃত্যু আলিঙ্গন তাই চাইনা অধুনা দেখে টিলা।
উদ্বাস্তুর মতো আজ উন্মুলের কথা বলি জেগে
শিকড় আমার নেই জানি মজবুত পৃথ্বী বুকে;
তবু আছি আমি আজ লেগে
তাই দেখে কালসাপ মেতে উঠে আজকে কৌতুকে।


বেঁচে আছি সেই ভালো নিজ ভাগ্যকুল দেখে কাঁপি
কঠিন জগত আজ মেদুরতা মেখে নিতে রত;
খুলেছি যে কবিতার ঝাঁপি
কালসাপ সেখানেও ফণা তুলে বসে করে ক্ষত।
তাই আজ বলয়ের কাছাকাছি বসে থেকে ভাবি
মুক্তি কি আসবে আর কালে;
মানুষের সোচ্চারের ডাক যদি শুনি বেহিসাবি
তবে আমি বেঁচে রবো ভালে।