আমায় তুমি একলা করে দিলে পরিচয়,
আমার আছে ভীতি তবু তুমি শুন্য ভয়।
পরান যদি দিলে তুমি মেখে,
তবে কি আর থেমে রবো দেখবোনা তা চেখে?
আছো তুমি আজো একা জানি,
লাগেনা আর তোমার যুগল বাণী,
তোমার মুখের নিঃসৃত বান আসে বাণী হয়ে,
জগত মাঝে সকল পুলক আসে রয়ে রয়ে।
জানি তুমি একা,
তাই বলে কি আমায় তুমি রাখবে একার দেখা।
কতো বাসন কতো আসন দিলে তুমি মেখে;
হলোনা যে আমার বেলা যুগল হতে চেখে।
আছি একা ভবে;
মাতি না আর আমি নিছক জগত কলরবে।
যেদিকে চাই দেখি আমি মানুষ ধর্ম মেনে;
যুগল হলো জেনে,
এইতো জগত চাওয়া,
এইতো প্রাণের বাওয়া,
নিকষ রাতের সঙ্গী দিবে, দিবে তুমি প্রাতে;
সে ভাবনায় আমার হৃদয় মাতে।
আপনারে তাই চিনতে আমি তোমায় চিনে ফেলি;
একাকীত্ব তোমার বেলায়, আমি পাখা মেলি।
গড়ে দিলে তুমি মানুষ রূপে,
পারিনা আর রইতে আমি চুপে,
মুখের কথা বলতে লাগে আমার ভীষণ ভয়,
আমায় তুমি একা করে দিলে পরিচয়।
দোল লাগে যে মনের মাঝে খুব;
একলা প্রাণে দিয়েছি আজ ডুব,
কোথায় আমার শাঁখাগুলো কোথায় আমার ফুল,
প্রেম কাননের গুল,
সবার আছে চন্দ্র, সূর্য  আমার বেলা কই;
তাই আমি আজ নভ পানে বিভোল চেয়ে রই।
কিন্তু চাঁদে হাসে আমায় দেখে;
একলা আছি উপহাসে আমায় চাঁদে লেখে।
পারিনা আর ছুঁইতে যে চাঁদ তবু ফোটে হাসি;
জানি আমি একা আছি চাঁদের হাসি ভাসি।
তাই বলি আজ বারেবারে আমার নিজের কথা;
আছে ব্যাকুলতা,
দিলে তুমি সত্যি জানি তোমার পরিচয়,
একলা থেকে বুঝি আমার হলো পারের ক্ষয়।
সত্য জানি একলা তুমি নেই যে কোন জরা;
আমার বেলা গ্লানি আছে আরো পুষি ত্বরা,
তুমি অসীম কালের লাগি আমি তো নই তাই;
মরণবাহী প্রাণ বয়েছি প্রাণে পুলক চাই।
তাই করোনা একা,
দাও হে প্রভু আমার যুগল দেখা।
তা না হলে ভাবনার দোর মেলবে আঁধার গেয়ে;
ভুলবে তোমায় নিতি আঁধার ছেয়ে,
পেয়েছি যে একলা আছি তোমার পরিচয়;
নেই যে তোমার ক্ষয়।
স্রোতের ক্ষয়ে পার ভেঙে যায় সকল কিছুর বেলা;
আছি যে একেলা,
বয়স আমার বাড়ছে কেবল পারেনা মন সয়;
সত্যি বলি পেলাম আমি তোমার পরিচয়।