বিকেলের ওই মধ্যবিন্দু করছে আমায় খাঁড়া,
পাইনা কোন সাড়া।
সাঁঝ ঘনালো একটু পরে গোধূলির রঙ মেখে
দেখছি সকল চেখে।
অরুণ আকাশ প্রদীপ জ্বলে নিশা করে গ্রাস;
অমন করে সাঁঝ ঘনালো আমার বারোমাস।
ধীরে ধীরে পাখি ফিরে নীড়ে;
তাদের পাখার ক্লান্তি আসে আমার মনে ভিড়ে।
সময়ের এই পরিক্রমা মেনে চলে সবে;
সাঁঝের আকাশ মেঘাচ্ছন শুনি নীরব রবে।
মৌণতা তাই আকাশ পানে মাখা;
সাঁঝের আলোয় উদ্ভাসিত শ্যামল আঁচল পাখা।
মেলেছে আজ শ্যামল আঁচল যবনিকার মতো,
আজকে করে সেই সে আঁচল আমাকে আহত।
চোখের তারায় তারারা সব ফুটে;
সলিল ছেড়ে সারসেরা ছুটে।
অমন করেই সাঁঝ ঘনিয়ে আসে
চাঁদের বাঁকা হাসি দেখি নীরব থেকে ভাসে।
জোনাকিরা জ্বলছে সুখে ঝাউ বনের ঐ ফাঁকে;
ঝিঁঝিঁ পোকা গুনগুনিয়ে ডাকে।
কারে ডাকে বুঝতে আমি ছুটি সেথায় বেগে;
আমার মতন তাঁরে ডাকে প্রাণের মরণ ত্যাগে।
পথের চলায় আছে মনে ভয়;
সাপের ছোবল হানতে পারে যদিবা হয় ক্ষয়।
কৃষ্ণপক্ষ পার করেছি আজ;
তাই মনেতে ভয় ঢুকেছে মন করে বিরাজ।
অমন কালে একটি তারা খসে;
ছিলোনা তার কোন ভাষা এখন ভাষা পশে।
রঙিন লাগে  শ্যামল ছায়ার পৃথ্বী;
জীবন মাঝে আসেনা আর প্রীতি।
তাই ভেবেছি ভাঙবো আমি ভয়কে নিজের ভালে;
মরণ দাতা মরণ দিলে ভয় কিসে আর ঢালে।
তাই চলেছি বনের দিকে দেখে বাঁকা হাসি;
শুনছি আমি কার সে মধুর বাঁশি।
ডাক দিয়ে যায় ব্যাকুল আবেগ মেখে;
জীবন গানের দ্যোতনা তাই চেখে,
বুঝিনা আর কিছু।
তখন সরূপ ফিরে আসে মরণ বাহক পিছু;
তার ডাকেতে দিলাম আমি সাড়া;
কিম্ভূতকিমাকার এক বিশাল কিছু হলো খাঁড়া।
অশরীরী আত্মা গুলো বলছে পালিয়ে যেতে;
সাহস আসে মনের মাঝে তেঁতে।
জীবন গানের কথা শোনাই চাঁদের আলোর ফাঁকে;
দেখি আমি একটি ভালুক ডাকে।
সাঁঝের অমন অন্ধকারে ভাবি তারেই দূত;
বুঝতে পারি আমি নই নিখুঁত।
চোখের দেখায় ভুল ছিলো তাই আজ;
তবু মনে সাহস ছিলো তাই করি বিরাজ।
মরণ বাহী প্রাণে;
আসবে মরণ জানিনা আর কোথায় বা কোনখানে।
তাই বলে কি থেমে যাবো আছেন আমার ধাতা;
আঁচল ফেলি চোখের ভুলে যেথায় আঁচল পাতা।