নদীর ঘাটে জল আনিতে    কারে এলে ফেলে,
কদম ফেলে আবার তুমি  নিজের ঘরে এলে।।
যে জল তুমি পান করেছ    মিঠে জলের দান ভরেছ,
সময় যে নাই নদীর পারে রবে প্রদীপ জ্বেলে।।

রাত নেমেছে ঘটেরি জল শেষ হয়েছে আবার,
কেমন করে মিটাবে হায় তৃষ্ণা অমন আঁধার।
অথচ যার বুক ফেটেছে    তৃষ্ণা কি তার আর কেটেছে,
গভীর আঁধার মাঝে তুমি আবার পারে গেলে।।

সলিল ভরে ভাবছো তুমি      তৃষ্ণা এবার মিটে,
অথচ যার তৃষ্ণা পারে      তার ঘরে জল ছিটে!
হটাৎ এলো দমকা হাওয়া    ফিরবে কিরূপ এবার চাওয়া,
তখন বুঝি সহায় তাঁরে    নিজের মনে পেলে।।

ফিরছো তুমি তাঁরে নিয়ে     এবার হলো যাওয়া,
তোমায় যেন গান শোনালো  অধুনা সে হাওয়া।
সেই ধ্বনিতে মুখরিত    বোঝোনি আর নিজের হিত,
তাঁরে মনেই বেঁধে ঘরে    ঝড়কে এলে ঠেলে।।

প্রখর রাতের অমানিশা আজকে কেটে গেছে,
ছুটলে আবার নদীর তীরে দেখলে শুধুই মেছে।
তাদের কণ্ঠে গান শুনে হায়    মনের মাঝে শুরু অধ্যায়,
যারে ফেলে এসেছিলে   তাঁরেই পেলে মেলে।।