সোনা রোদের আবেশ মেখে
আসে ফাগুন কোলে,
দোলে দোলে দক্ষিণ হাওয়ায়
ভ্রমর ফুলের বোলে।।
দেখি আমি ফুলের ছাওয়া,
ভ্রমর আসে গান যে গাওয়া,
গুনগুনিয়ে আসে ভ্রমর
পীযূষ কেবল তোলে।।


এই জগতে মানুষ আসে
নিতে পীযূষ সুধা,
তাই বাড়ে যে জীবন মাঝে
তাদের ভীষণ ক্ষুধা।
অথচ লোক পরান ভরে,
ছুটে টাকা কড়ির 'পরে,
গান গেয়ে যায় নিজের গলে
তাঁরে কেবল ভোলে।।


ফাগুন কালের মতো তারা
ক্ষণকালের সুখে,
থাকে কেবল যৎসামান্য
জগত লাগি ভুখে।
মরণ যখন টান মেরে যায়,
বিছানাতে সবে কাতরায়,
তখন তারা ধাতার বাণীর
খাতা খানি খোলে।।


অথচ এই সোনার রোদে
টিকে থাকে ক্ষণে,
আবার যে দশ বাকি মাসে
ভুবন মাঝে ঘনে।
তেমনি লোকের সম্বিৎ ফিরে,
মরণ কালে সকল তীরে,
খুঁজে চলে কেবল যে ঠাঁই
মরণ তুফান ফোলে।।