তোমার দিকে চেয়ে আছি দেখিনা তোমারে,
তুমি আছো চোখের ওপার যবনিকার ভারে।
ভেদ করে যে যাবো সেথা আমি,
তখন নামে নিকষ আঁধার যামী,
তখন নামে বুকের মাঝে খিন্ন ভীষণ ব্যথা,
তখন মুখে আসেনা আর তেমন নিগূঢ় কথা।
মনের মাঝে তেমন;
আসো তুমি তখন শুধুই তুমি আছো যেমন।
যবনিকা ভাঙতে গেলে চক্ষু চলে যায়;
তখন নামে আঁধার হতে আরো আঁধার সায়।
তারে সবাই কি নাম দিয়ে জানে;
তাকাই ঐ আসমানে।
বেদন তখন শুকিয়ে যায় ঝরা পাতার মত;
করে চলে ক্ষত।
যবনিকা আসে যেন জীবিত চোখ মাঝে;
সকাল, বিকাল সাঁঝে;
উৎরে গেলে যবনিকা দেহে রয়না প্রাণ;
মুখ ফোটেনা তখন জানি নিথর ঐ আসমান।
সদাই তোমার দিকে যে চাই মাঝে যবনিকা;
আলো কিবা আঁধার পারে তুমি আমার শিখা।
জানে কি কেউ যখন তোমায় দেখি;
নামটি যে তার মরণ বলে লেখি।
তাই খুঁজিনা আজকে থেকে তোমার দেখা চেয়ে;
মরতে আমার সাধ জাগেনা গাইছি গীতি ধেয়ে।
পড়বে খসে তারার মতন ঐ সে যবনিকা;
তখন আমার আসবে মরণ ভাগ্যে আছে লিখা।
মেনে নিতে হবে তখন রবেনা আফসোস;
মৃত হয়ে যাবে তখন আমার দেহের কোষ।
তাই চেয়েছি তোমার দেখা জীবিত নয় ভালে;
মরণ পরে দেখলে পুলক রইবে অসীমকালে।