জীবনের খেরখাতা মেলে রেখে দেখে যা-তা কৃষ্ণকায় প্রাণ
অদৃশ্য গহ্বর আজ মেতে উঠে শুষে নিতে তার কালো রূপ;
আননে ভেলকি নেই -- উদাসীন সবে তাই ন্যুব্জ অভিযান
হয়না যে তার বিয়ে রূপের আলোকচ্ছটা -- নেই থাকে চুপ।


রমণীর দেহ আছে তাই তারে লোকে বাছে একরাত লাগি
শরীরের আবেদন আছে তার আছে মন কোথা সেই প্রেম;
চোখের নিচেতে দাগ পরিস্ফুটনে অভাব রাতি শুধু জাগি
স্বর্গীয় ফেরেস্তাগণ আনন ফিরিয়ে নেয় মুখে শুন্য হেম।
হয়েছে সে সর্বগ্রাসী তবু বাজে মন বাঁশি তাহাতে অরুচি
কালের কামড় দেয় পুরুষের চোখ শুধু  তার দেহে খেলে;
তাই তার বিদ্যা আজ নিজের আবেগ রুখে করে কুচিকুচি
রূপের দোহাই দিয়ে ছেড়ে দেয় সবে তারে নিজ পাখা মেলে।


নারীর রূপের ভার আছে শুধু বিধাতার দেয়নি যে তারে
সেই বেদনাতে আজ দেবে আত্মাহুতি সে যে জীবনের ভার;
তখন হৃদয়ে বাজে নিজের অলীক মন সাড়া দিতে নারে
অবহেলা পেয়ে ছুটে শারীরিক চাহিদায় বেশ্যালয় দ্বার।
ক্লেদজ কুসুম গন্ধ কটু হয়ে ফোটে শুধু যেখানেই থাক
নিজের দৈন্যতা যেন ভেসে উঠে ব্রোথেলের দেয়ালের ইটে;
পায়না যে কাস্টমার জীবনের সুখ নাই যাক চলে যাক
মেজাজ হারিয়ে ফেলে নিজ চরিত্রের দোষে হয়ে খিটখিটে।


সর্বনাশা মন তার উল্টোপাল্টা ভেবে শুধু করে নিজ ক্ষিতি
রূপের দোষের ফলে তার মন শুধু দ'লে প্রেমহীনা কাব্য;
কান্নার করুণ শব্দ ভেসে আসে ঘর থেকে আসেনা যে গীতি
তাই যেন প্রাণেশ্বর প্রতি তার নেই টান -- জীবনের ভাব্য।


অবশেষে সময়ের নিঠুর কামড় খেয়ে -- হারালো সে প্রাণ,
অদৃশ্য কামড় হতে রক্ষা যে পেয়েছে ঠিকই দুর্বহ জীবনে;
মৃত্যুর আগে দিলো সে তার দুটি চোখ শুধু করে গেল দান
পায়নি সে ভালোবাসা নতুন মানবী দ্বারা মিটে যাক মনে।