উদ্ভূত মন সম্ভূত আজ হৃদয়ের করিডোরে,
তাঁরে খুঁজে চলি জাগতিক সব বাহানা করেছি পেশ;
জেগে উঠি আমি ভোরে,
জানিনা অধুনা কোথায় যে তাঁর দেশ।
একবার চাই আকাশের পানে একবার ধরণীতে;
আকাশের চিল উড়ে চলে যায় চিলের পাখাতে নেই,
চায় শুধু ভ্রুকুটিতে
ধরণীর বুকে চিলের খাদ্য আকাশে ঘুরেছে সেই।
তবে কোথা ঈশ্বর;
কোথা আছে মাখা অজর কি ধ্যানী খুঁজেছি কতনা কাল;
দাঁড়িয়েছি আমি নিজ পায়ে দিয়ে ভর
ঈশ্বর খুঁজি তাঁর গেহ কোথা আমার নিজের ভাল।
নৃতত্ত্বের এ রহস্য ঘেঁটে পাইনি যে আমি কিছু
বিড়ালের ধ্যান শুধু মাছ খোঁজা কিম্বা মীনের কাঁটা;
তবু আছি তাঁর পিছু
এই পৃথিবীর মোহ ঘেঁটে চলি পৃথিবীকে করি ছাঁটা।
গায়েবী আওয়াজ আসেনা আমার কাছে
কেন বলে যাবো মিছে;
সত্য বলেছি আমি আজ সুখে সমুখে কিম্বা পাছে
তবু শুনি আমি মানুষের মন বিষাক্ত ন্যায় বিছে।
ঘরে ক্যাকটাস বুনেছি যে আমি আজ;
জলজ প্রাণের দ্বারা সাজিয়েছি আমার অ্যাকুরিয়াম;
শ্যাওলা ঢেকেছে তার নিজ কারুকাজ
পেয়েছে মীনেরা তাদের নিজের ধাম।
যুগান্তরের ভূষণ মেখেছে মানবেরা আজ সুখে;
তবু আছে জানি আমার বিধাতা আগের মতন করে,
আছি শুধু তাঁর ভুখে
জিকির করেছি তাঁরে শুধু নিজ স্বরে।
পাবোন দেখাটি জানা হয়ে গেছে আগে
আমার বাগানে বুনেছি গোলাপ গন্ধ ছড়িয়ে ঘাতে;
আমার বাসের মতন গোলাপ বাগে
আমার গোলাপ বলে ডাকি তারে পরিচয় নিজে মাতে।
বিধাতা কোথায় গড়েছে আবাস হলোনা যে আর জানা
সেই রহস্য উদ্ঘাটনের সূত্র খুঁজেছি আমি;
কেউ যে করেনি মানা
খুঁজে চলি দিবা যামী।
অমীমাংসিত রয়ে গেছে তাই বিধাতার এ ঠিকানা
মনের আলয়ে আছে জানি সে যে রাজে;
করেছে আমারে হানা
বাস্তবে তাঁর আবাস কোথায়; কোথায় সে যে বিরাজে।
রহস্য তাঁর এই চরাচরে খুঁজে চলা খুবি ভার;
পরাবাস্তব যদি বলি তাই হয়ে যাবে জানি কম;
করে মন ছারখার,
কেউতো ফেলেনি উদ্ঘাটনের উন্মোচনের দম।
তবু বৃথা আজ অনুসন্ধানে মাতি
জানিনা কেমন আমার ধাতার আননের কারুকাজ;
সে যে হৃদয়ের সাথী
তবু ভাগ্যের শরীরে পড়েছে আজ বেদনের ভাঁজ।
সাময়িকী মন খুঁজে চলে আজ ভেবে
অসীম কালের সকল অজানা আমি একা কিবা নারি;
তাই চলি যে হিসেবে
তাঁর কাছে ক্ষমা চেয়ে ঝরে চোখে বারি।
জানি সে যে নয় শঙ্খচূড়ের মণি
জানি সে যে নয় সাতমণিহার ধন;
দিয়েছে আকাশ বুকে ভরে সে অশনি
তাই তাঁরে আজ অদেখা মেনেই করেছি নিজ আপন।