শীতের কালে নিকষ রাতে ছুটলি তোরা কই,
যার লাগি এই ছুটাছুটি ফাল্গুনী নাম কই।
আসেনি রে ফাল্গুন আজো ভবে,
অযথা তাই মাতলি কলরবে,
বিষাদ মেখে ছুটলি তোরা তাই,
কেমন করে আমি তোদের ভুলেরি গান গাই।
এখন আসে কুয়াশা আর শিশির জমা রোদ,
পাবিনারে ফুলের দেখা করবি কিরূপ শোধ।
কিভাবে আর চরণতলে দিবি প্রসূন গুঁজে,
পাবিনা রে প্রসূন ভবে খুঁজে।
এখন চলে ঘাসের ডগায় ঝরা পাতার ঝাঁক;
কোকিল এখন ডাকেনা রে ডাকে শুধু কাক।
পৌষে অমন পাবি কোথা তোরা,
ছুটাস কেন মিছের কালে তোদের রাঙা ঘোড়া।
আসবে ফাগুন জানি;
মিছে জানি জগত কবি দেয়নি কোন বাণী।
অযথা তাই মরণ নিবি কেড়ে,
তোদের চলা বিফল হবে কলকাঠি সব নেড়ে।
সময় যদি রইতো তবে ভালো,
ফাল্গুন এলে পাবি তাঁরে দিতে তোদের আলো।
সবি বৃথা যাবে,
পাখি না গান গাবে,
মুগ্ধ বিবশ গান শোনাতে পাবিনা আর তাঁরে;
বিফল হবি ভারে।
ছুটতে থাকিস ভালো কথা বেগের প্রয়োজনে;
কি আছে আর মনে,
জানিনা কিছুই,
ক্ষেমের তরে বলছি আমি নাই যে তোদের ভুঁই।
টান লেগেছে আসবে ফাগুন অপেক্ষা আর কর;
তানা হলে হবি রে নড়বড়।
মরণ যখন আসবে তখন নিজের মরণ ডাক;
অসময়ে মৃত্যু ফাঁদে দিলি কেন হাঁক।
তাঁর করুণা ছাড়া দ্রুমের পাতা যে অচল,
বাতাস তাঁরে ডাকে বলে সদা রয় সচল।
আজ বুঝে দেখ সব,
মিছে কলরব,
করিস না আর তোরা,
সত্যি জানি চলবে যখন সময় এলে ঘোড়া।
শুনলি না আর আমার কথা সবে;
কে বা শোনে কার সে কথা মাতে নিজের রবে।
চললি তোরা সদলবলে আজ;
দেখিনা আর সত্য কারুকাজ।
দেখিনা আর বিষম খেয়ে চলা;
তোদের কাছে বেগ যেন নাই হ'লি কি উতলা।
সমুখ আছে ফাঁদে ভরা দিলি সেথায় পায়;
ডুবলি তোরা নায়,
তোদের এলো মৃত্যু ঘনে পেলিনা আর তাঁরে;
ত্বর না সয়ে গেলি তোরা জীবনের আঁধারে।
তখন দেখি শীত কাটেনি সন্ধ্যা নেমে এলো
করলো এলোমেলো,
আমার কথার ধাঁচ না বুঝে তোদের ছিলো ভুল;
দিলি রে মাসুল,
কে জিনেছে অসময়ে আপন বিধাতারে;
তোদের ভুলে ডুবলি তোরা অমন অন্ধকারে।