পরশমণি আঁচড় কেটে গড়ে দিলো সোনা;
সেথায় তোমার আছে আনাগোনা।
এই জীবনের সকল তোমার জানি;
এই মননের ধাতা তুমি মানি,
বিজয়ধ্বনি বাজছে শুনি অশনির এই ভবে;
দামামা যে নভে বাজে নিত্য কলরবে।
পৃথ্বীর বুকে বসে থেকে দেখছি সকল কিছু,
চোখের দেখায় আছি তোমার পিছু।
তোমায় ছোঁয়া পেলে জানি আজি;
ধরতে পারি বাজি।
জীবন মাঝে স্রোতের মতো বয়ে;
যাবো আমি এই পৃথিবীর ধূসর জলে ক্ষয়ে।
চাইবো তবু তোমার পরশ মনে;
নিজের দেহে পরশ আসে রবি চাঁদের সনে।
লাগে আমার মোহনীয় সবি,
এঁকে চলি প্রাণের 'পরে তোমার সৃজন ছবি।
দাও হে ছোঁয়া যাবো খোয়া দেহের বলে বেলা;
করোনা হে নিছক মাটির মানুষ সনে খেলা।
তবু যদি পরশ আসে মনে,
রাখবনা আর কোন কিছু আমি সঙ্গোপনে।
এই যে পৃথ্বী; এই যে আকাশ সবাই পেলো ছোঁয়া;
টিকবে তারা আমার চেয়ে অধিক পরে খোয়া।
চাইনা আমি মুছে যেতে ত্বরা;
এই ধরাতে মনে রাখে তোমার ছোঁয়ায় ভরা।
পরশমণি চাইনা আমি তোমার ছোঁয়া পেলে;
উঠবো তখন সৃজন মেখে মেলে।
তুমি আমার পরশমণি হবো খাঁটি সোনা;
আমার দ্বারে করবে তখন সবে আনাগোনা।