প্রভাত এসেছে ধরণীর বুকে চকা রূপ এঁকে গেছে,
আজ ছুটে চলে নদীর পারেতে মৎস্য নিধনে মেছে।
জোয়ারের বেলা আসে;
আমার হৃদয় অরুণ রবির রূপ দেখে ভালোবাসে।
উতলা বীজন এসেছে আমার গায়;
সয়ে চলি আমি মেদুর বাতাস কায়
রোদনের বেলা উৎস হেসেছে হাসি,
প্রভাত এসেছে তাই তাঁরে আমি উত্তর দিতে আসি।
চোখের পটের রেখা দেখে আজ নীলাভ ঐ আকাশে;
আবছা চাঁদের বাঁকা হাসি তাই ভাসে।
তারারা সকল মিলিয়েছে আজ হয়ে গেছে সব গত;
রবিটির তেজে আজ যেন মন ভীষণ বেগে নিরত।
ফাল্গুন কালে বকুল ফুলের ঘ্রাণে;
বন দিকে মন টানে;
ছুটে যাই আমি বনের মাঝারে আজ
করুণা ধারা বিরাজ।
চাঁপা কিবা ঐ শিমুল ফুলের লালচে রূপের ধারা;
যেন আকাশের রঙটি মেখেছে তারা।
অমন প্রভাতে বনের পথের পাতাগুলো সব উড়ে;
মর্মর গান বেজে উঠে সুরে সুরে।
হটাৎ ফাগুন বনের মার্গে দেখেছি আমি কি তাঁরে;
আবডালে ঢাকা আলো ছায়া খেলা করে মার্গের পারে।
ভুল কি দেখেছি মানুষের রূপে কিছু;
বেদনের ভারে নিয়েছি যে তাঁর পিছু
সংকোচের এ বাতায়ন মেলে দেখি;
যা ভেবেছি আজ সকল হয়েছে মেকি।
চোখ বুজি তাই পুনঃ মেলে দেখি নেই;
তখন বুঝেছি প্রভাতের মাঝে বনেতে এসেছে সেই।
হারিয়ে ফেলেছি নিজের সুযোগ বুঝি;
অনন্তকাল খুঁজি।
পেয়েছিলাম যে তাঁর দেখাখানি চোখে,
বিলীন হয়েছে নিজের ভুলে মেতেছি আপন শোকে।
ফিরে আসি ঘরে বিষাদের তরে বেগে,
নিজের সকল ত্যাগে।
তবু যে প্রভাত রয়ে গেছে অব গাইছে কোকিল সুরে;
কেবা বলে কথা সে রয়েছে আর আমা' হতে বহুদূরে।