এই নিসর্গ কেড়েছে বেদন আজ;
মাখি আমি আজ অপলকে তারে আঁকি চোখে কারুকাজ।
কোথা তার শুরু আর কোথা তার শেষ;
ভাবনার দোর মেলে রাখি আমি এ আমার উদ্দেশ।
জানি নিসর্গ নাশ হবে জানি কোন রাঙা একদিনে,
রইবোনা আর আমার নিজের ঋণে।
সে অপেক্ষায় কাতরায় মন বয়ে সময়ের কুঁজা;
যার মাঝে আছে প্রাণের পীযূষ তাই তারে আজ খুঁজা।
কুম্ভ রাশির জাতক হয়েছি শেষে,
তোমার নিকট ধরা আছি ওহে মেদ কিবা স্বেদ পেশে।
রাশির জাতক শেষ বলে হায় দেখতে চেয়েছি ইতি;
এ আমার প্রাণ গীতি,
এ আমার নিজ গড়া স্বপনের অনন্ত সাক্ষর,
কেমন করে বা করবো স্বপন পর,
ইতির কাহিনী শুনেছি অনেক নাম নাহি জানা পাতা;
খুলেছে আমার মাথা,
তাই আজ আমি কনককুম্ভ পান করে যাই নিজে;
আর উঠি তাতে ভিজে।
যদি বা অমর হই;
তবে জানি আমি ইতির কাহিনী মাঝে খোলা হবে বই।
সে কথায় আজ সাজাই তোমায় আমার মনের দেশে;
আমার কবিতা পেশে,
আজ নিবন্ধ করেছি আমার সময়ের কুঁজা বেগে;
অমৃত পানের মেঘে,
আকাশের পানে চেয়ে দেখি আজ ঝরেছে অমৃত সুধা;
বাড়িয়েছে প্রাণে ক্ষুধা,
তাই বেঁচে রই অকৃত্রিম এ আক্রোশে পুড়ে মন;
দেখে যেতে চাই আমি শেষ আয়োজন।
মৃত্তিকা দ্বারা গড়েছ তুমি হে তোমার শ্রেষ্ঠ সৃজন;
শুনেছি কর্ণে কূজন;
জাগিয়ে তুলেছে প্রতিটি প্রভাতে মোরে;
কেটেছে বাঁচার আকুতি মেখেছি আমি যে প্রতিটি ভোরে।
তোমার করুণা বিনে;
হবেনা যে শেষ আমার চাওয়াটি কেউ নারে তারে জিনে।
তাই নিসর্গ আমারে টেনেছে ক্ষণিকের মোহ দ্বারা;
হয়েছি পাগলপারা,
ধোঁয়া গড়া এক আঁধিয়ার আসে জ্বালাই মশাল সুখে;
ধোঁয়া কেটে যায় দেখি মরণের চিহ্ন এসেছে ভুখে।
অথচ দেখেছি সময়ের কুঁজা এখনো না পুরো ভরে;
আছি ভাব মেখে সময় তেপান্তরে,
কবির কলম মরণের আগে রুদ্ধ হয়েছে জানি;
তাই নেই হয়রানি,
বেঁচে রবো যতো লিখে যাবো তত সময়ের স্রোতে কুঁজা;
এইতো জীবনে যুঝা।
তাই হে তোমায় বলেছি ডেকে যে ভরে দাও কুঁজাখানি;
স্বর্গের দেখা পাবো তবে আমি এনেছি যতো বা বাণী।
তা না হলে সব জলাঞ্জলি যে চলে যাবো আঁধিয়ারে;
কবির কলম ন্যায় দিয়ে যায় ভারে।
তোমারে লভিতে সময়ের কুঁজা পূর্ণ করো হে ধাতা;
সময়ে সময়ে নিমিখে নিমিখে দেখেছি সৃষ্টি পাতা।
লভি আমি সেই জ্ঞান;
পূরণ করো হে কবুল করো হে আমার নিজের ধ্যান।