এসেছে ছন্দ; ভেসেছে গন্ধ; ফাল্গুন ফুল বনে,
বাহারি ফুলের আয়োজনে দেখি মাতোয়ারা হয়ে ঘনে;
আমি নাই পাই ঘ্রাণ;
সবাই ছুটেছে সেই বন পথে আকুল হয়ে আপ্রাণ।
নিমিখে নিমিখে সবাই ছুটছে বনের গন্ধ পেয়ে;
চোখের পলকে অদৃশ্য হলো সবে উঠে চলে ধেয়ে।
আমার হৃদয় অবগাহনের তান ভুলে বসে আছে;
তাই আজ ঘর বাছে,
চাইনা বাহির যেতে যেন আজ শুধু ঘরমুখো হয়ে;
দখিনা পবন লাগছে শরীরে আসছে আলয়ে বয়ে।
আকাশের দিকে চাই;
ফাল্গুন কালে আমি আজ শুধু বিরহের গান গাই।
যাপিত কালের স্রোতে ভেসে যাওয়া ঘ্রাণ;
করেনা আকুল প্রাণ,
তাই মন আজ বিরাজে আলয়ে আর তার দেহলিতে;
পাইনা খুঁজেছি মিতে,
পরানের কথা কেন যেন আজ জাগেনা ব্যাকুল স্বরে;
একলা থাকার ভরে,
বিষাদ আমায় ঘিরে,
করেছে আজকে পাগলপারা যে আমার ঘরের তীরে।
সহসা দেখি যে মানুষের ঢল ফিরে আসে বন হতে;
হৃদয় কাঁপছে স্রোতে,
জাগে বোধোদয় আজ;
বন খালি হলো সাঁঝের আবহে কোথায় আছে বিরাজ।
ধীরে ধীরে দেখি ক্লান্ত বাতাস বহে;
আমার শরীর সহে,
তাই ফিরে চলি বনে,
ঘ্রাণ ছাড়া আর বনের বাতাস আমার নাসায় ঘনে।
তবু যাই আমি শ্যামল ছায়াটি মেখে;
দেখতে কানন চেখে।
জীবনের গান বুঝিনি যে আমি আজো;
নিজেকে বলেছি এবার উঠে হে বাজো,
তবু জাগেনা যে প্রাণ,
তাই আজ আমি বিবশের মনে চলি বনে গেয়ে গান।
বনে ফুটে আছে পলাশ, শিমুল আর বকুলের বাস;
সকল সে ফুল যায়না যে পাওয়া জেনেছি যে বারোমাস।
সহসা সুদুরে আলোর ঝিলিক জাগে,
আমার সাহস ভাগে।
তবু আমি ছুটি ঘুঘু ডেকে যায় হুতোম পেঁচার কান্না;
খুঁজি আমি কি সে পান্না।
অথচ আমার নাকেতে ফুটেছে সকল ফুলের ঘ্রাণ;
কে করেছে ঘ্রাণ দান,
সেই ভাবনায় ছুটে যাই দ্যুতি দিকে;
উৎসুক প্রাণ হয়েছে আবার ফিকে,
কাছে গিয়ে দেখি মিলিয়েছে সব আলো;
শুধু ছাপ আছে বাকি সব যে মিলালো।
মন হয়ে রয় ভার;
তবু ঘ্রাণ পেয়ে জাগে মনে আজ আমার অলংকার।
ফিরে আসি আজ ঘরে;
অচেনা সে এক আগন্তুক যে এসেছিল বন তরে।
দিলনা যে দেখা তাঁর;
দিয়ে গেলো শুধু নিজ ঘ্রাণ বনে ভেঙেছে অহংকার।