আমি যারে আজ আপনার ভেবে জ্বালিয়েছি দীপ শিখা
সে থাকে জেনেছি সুদূরের পথে পার করে নীহারিকা।
জ্বলন্ত সব তারকার খেলা দেখে,
তাদের রূপের চাক্ষুস রূপ চেখে
জীবনের গান গেয়ে গেছি আমি ছোট দীপখানি জ্বেলে,
তখন দেখেছি পৃথিবীর বুকে মেলে
চক্রবাকের মতন এসেছে অশরীরী প্রাণ নেমে;
দীপের জ্বলন থেমে।
প্রভাতের রবি এসেছে ধরার বুকে,
দিয়ে গেছে সবি সুখে;
আলোর ফসিল জ্বলে চলে আজ অতুলনীয় এ ভাবে;
দেখিনি তাঁরে যে হিসাবে কি বেহিসাবে।
আমার চোখের তারায় নিভেছে তারকারা সব ঘুমে,
চাঁদের আলোক নিভে গেছে চুমে
তার মাঝে ঐ রবির আলোক জাগিয়েছে নিজ তূর্য,
দেখেছি অমন সূর্য।
লেগেছে এখন অসীম কালের সসীম স্বজন আর;
মেলেছে সকল আলোকের এ পাথার;
আমার প্রদীপ নিবে গেছে তাই ফুরালো তেলের খনি,
সারাটি রজনী জ্বালিয়েছে নিজে নিজের আগুন মণি।
অথচ যে তাঁর দানের আলোক অনন্ত কাল জ্বলে;
ভুলে যাই পলে পলে।
নিছক তুলনা করিনি যে আমি ভালে,
তুলনা কি আর মানায় সূর্য আর প্রদীপের মালে।