বনের পরম সুন্দরী এক, আমার দিকে চেয়ে
হাতছানি দেয়, সুবাসিত করে, প্রেমের গান গেয়ে।
আমি শুধু বসে থাকি, চুপি চুপি চেয়ে থাকি,
মনঃ পটে ছবি আঁকি, কাছাকাছি যেয়ে,
সুন্দরী সে মিটি মিটি হাসে, আমায় কাছে পেয়ে।


লাজুক মেয়ের লাজুক হাসি, দেখি দুচোখ ভরে
চারিদিকে সে সুবাস ছড়ায় নিজেকে উজাড় করে।
চুপিসারে বলে, এসো বাহুতলে, দাও গো ভালোবাসা
বাঁধো মায়াডোরে, হৃদয়ে ধারণ করে, মেটাও পিয়াসা।


ধন্য করো তুমি, প্রেমিক পুরুষ প্রিয়, আমি যে তোমার বকুল
চিনেছেন আমায় তোমার প্রিয়, স্বয়ং কবি নজরুল।
আমি তো বাঁচি প্রেমিক মনের গভীর আবেগ নিয়ে
এসো হে আমায় পুর্ণ করো, পরাগায়ন দিয়ে।


তারপরই যেন সময় ফুরোয়, হেমন্ত চলে আসে
আমি চলে যাই শিউলী, কামিনী, মল্লিকার তালাশে।
বকুল যেন শুকনো মুখে ঝড়ে পড়ে ভূমিতে
স্পর্শ করা অনিয়ম তাই, যাই না কো তুলিতে।


আমি বারে বারে দেখি, মুগ্ধ হই, কখনো ছুঁই না ফুল,
বকুল আমারে ভ্রমর ভাবিয়া করিয়াছে বড় ভুল।