[ নিবেদিত: কবি পুলিন রায় ]
গলায় শব্দের অনুক্ষণ, তবু সুরমার বুকে
ভেসে ওঠে এক নিভৃতে দীপরশ্মি।
পাতার গাঢ় অন্ধকারে ফুটে ওঠে ছায়ার গোপন কথা,
যেখানে মাটি চুপিসারে স্বপ্ন জালে বাঁধা,
আর সময় দাঁড়িয়ে থাকে নদীর ঘূর্ণায়।
ধানের কাঁপায় লুকিয়ে থাকা পুরনো গানের সুর,
মুঠো থেকে ফসকে যায় না সে গন্ধ,
বাউলের বাঁশিতে ভেসে ওঠে বৃষ্টি ও ধুলোর ধোঁয়া,
মেঘলা বিকেলের গানে মিশে থাকে অনন্তের হাসি,
যেন স্মৃতির প্রতিধ্বনিতে ডুবে যায় ধরণী।
এখন আকাশ থেকে নেমে আসে অদৃশ্য বাতাস,
হাওরের কুয়াশায় গুঞ্জরায় স্মৃতির ছায়া,
শব্দ হারিয়ে যায় নীরবতার আঁকাবাঁকা পথগুলোয়,
স্পন্দন হয়ে ওঠে মাটির অন্তঃস্থলের সুর,
যেখানে অনুভূতি ও উপলব্ধি এক অভিন্ন।
শহর দাঁড়িয়ে আছে গোপন সেতুর ওপরে,
যেখানে দরজা নেই, পথ নেই,
শুধু ছায়া দোলায় স্মৃতির পা,
মিশে যায় বেদনার লিরিক্যাল ছোঁয়ায়,
শুধু স্মৃতি, যা কান্নার মতো চাপা হয়।
শব্দ এখানে জন্মায় না,
শুধু নীরবতার গভীরে বয়ে চলে এক অনন্ত গান,
যা শোনে মাটির বুকে লুকানো সব নিঃশব্দ প্রজাপতি।