কখন গিয়েছে বেলা; তবু বুকে ভরে নিয়ে ঘোর প্রণয়ের আশ
এই সুরমার তীরে এখনো রয়েছি বসে পাশাপাশি, চুপচাপ––
তুমি আর আমি; এদিকে আষাঢ়ে বাতাস তার রেখে শ্বাস
তোমার মুখের ’পরে; আকাশে মেঘের ভেলা––সেও বুঝি দিবে ঝাঁপ
তোমার রূপের মোহে; তার হিম ছায়া গায়ে মেখে ধবল পাখির দল
করে কোলাহল, উড়ে যেতে যেতে তোমার চুলের মিহি ভীড়ে
ফেলে মৃদু আঁশ––ছুটে যায় হাওরের পানে; পলি-ভার বর্ষার জল
নদী বেয়ে যেতে সেও ভেজায় পায়ের গোছা; চায় ফিরে ফিরে!

এইসব অহেতুক ছোঁয়াছুঁয়ি অবিরাম শিলাঝড় ঢালে অহরহ
আমার বুকের মাঠে; কবে কোন আততায়ী ছায়া এসে পড়ে নেবে
তোমার চোখের ভাষা, ছিনে নেবে শ্যামল হাতের চুড়ি, তার দু:সহ
ভয় নিরন্তর খুঁড়ে চলে প্রণয়ের মাটি; অনুক্ষণ এইসব ছাইপাশ ভেবে
কেটে যায় বেলা, অথচ এই নদীতীরে বেহিসাবী প্রকৃতির বিচিত্র বৈভব
দেখে ঝাপটায় কাশফুল; চারিদিকে প্রণয়ের প্রমত্ত উৎসব!


প্রথম প্রকাশ: বাংলা-কবিতা ডট কম, ২৮শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৪ই জ্বিলহজ্জ ১৪৪৬ হিজরি।