কি প্রশান্তি নিয়ে বৃষ্টি মাথায় করে বসে আছো।
চোখের জল ঢাকা পরে গেছে আকাশের অশ্রুর ভিড়ে।
তুমি কি আমাকে চিনতে পারছো ?
কাঁপা হাতে চায়ের  পেয়ালা এগিয়ে
আমার অপলক মুগ্ধ দৃষ্টি এড়িয়ে
অন্য ঘরে আঁচলে মুখ ঢেকেছো।
নিস্তব্ধতা ভেঙে কিছু বলার মুহূর্তে
ঊষ্ণ আঙ্গুল ছুঁয়েছো আমার ঠোঁটে।
নির্বাক চোখে নীরব অনুরোধে
দাঁড়িয়ে আমি  বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে।
তোমায় ভালোবাসার প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসেছি  
আমার বেপরোয়া ছায়াকে অবশেষে।
ঘরের কোনে আমার অবহেলিত অবয়ব
হঠাৎ অন্ধকারে  মিলায় পরিহাসে।

ভীষণ ব্যস্ততার মাঝে বুক নিংড়ে কান্না আসে যখন,
আমার একাকিত্ব  তোমার শূন্যতার  গভীর আলিঙ্গন।
চিনতে পেরেছো মায়াবী মলিন অস্তিত্বের ছবি ?
রমণী, আমি তোমার সেই অস্বীকৃত প্রেমের দাবী।