জীবন একটা বহমান নদী।
সময় তার প্রগাঢ় স্রোত!
কারো জন্য কিছু থেমে থাকেনা
কেউ কারো জন্য অপেক্ষাও করেনা
জীবনের ঘড়ি নিগুঢ প্রকৃতি
প্রকৃতি শিল্পীর অবাধ্য সন্তান
সে তার নিজস্ব নিয়মে চলে
এই ধরায় কারো মুখাপেক্ষীতা রাখেনা


তুমি, আমি,  আমরা সবাই
যারা কাল ছিল, কিংবা আজ আছে
যারা আসবে ভবিষ্যতের কালবেলায়
সকলেই সময়ের ঘড়ির বাধ্য দাস
কেউ স্বেচ্ছায় আসেনি ভুবনে
কেউ চাইলেও থাকার শক্তি রাখেনা
কেউ সাগ্রহে ফিরতেও সমর্থ নয়
সকলেই সৃষ্টির বাধ্য দাস


আমার দুঃখজাগে জগতের লীলাখেলায়
যেথায় রাজ করে মানুষ নামী উদ্ভট সব জানোয়ার
যারা স্ব-জ্ঞানে ভরে পাপের ঝুলি
মেতে উঠে নিষ্ঠুর মরণখেলায়
নিজেরাই মরে নিজেরাই মারে
ধর্মের নামে কামড়াকামড়ি করে
নিপীড়িতদের আহাজারিতে সিক্ত আসমান
রক্তের হোলিখেলায় অসহায় জমিন
আমিতো প্রেমের কবি
প্রেমবিলাসে বিশ্বাসী
আমার কি এসবে সয়?


বহমান নদীর যেরুপ থাকে জোয়ার ভাটা
জোয়ারে থাকে প্রবল উচ্ছাস
সে নদী এককালে চুপ হয়ে যায়
স্তব্ধ হয়ে যায় তার গতিবেগ
নশ্বর জগতের সব সৃষ্টিও নশ্বর
একদিন তো সব থেমে যাবে ঠাই
সেদিন মোরে কে মনে রাখবে হায়
ভুলে যাবে ধরা ছিল চিরদুখী এক মানব
কাদতে কাদতে ক্ষয়ে গেল তার গোটা সত্তাই...