কোন এক স্নিগ্ধ ভোরে কফি হাতে বারান্দায় আসবি তুই!
একবুক বেদনা ও তীব্র বাসনা নিয়ে তাকিয়ে থাকবি!
নির্ঘুম চোখে থাকবে স্বর্গীয় সরলতা!
রোগা পাতলা হাত একটু একটু কেপে উঠবে অজান্তেই
ধমনীর উথালপাতাল তরংগে ঝড় উঠবে হৃদয়ে
চেহারার কাঠিন্যতার মুখোশ খসতে থাকবে ধীরলয়ে
নিস্প্রভ আখিদ্বয় সিক্ত হবে অশ্রুকণায়
ঝাপসা হয়ে যাবে চশমার ভিতরের জগত
অজস্র কষ্টের লৌহদণ্ড জমাট বাধবে গলায়
বুকের ভিতরটা জ্বলবে কড়া ঝাঝে..
নিশ্চুপ প্রকৃতিও নুয়ে যাবে তোর যাতনায়
সান্তনার শীতল সমীর বুলাবে কোমল স্পর্শ
থমকে যাবি তুই!


স্মৃতির মরিচীকায় ক্ষীণ হয়ে থাকা
একটা চেহারা ধীরে ধীরে ভেসে উঠবে
যে চোখে ভাসে গভীর মায়া
ঝরে পড়তে থাকবে অনুরোধের বাস্প
করুণার ছোয়া..
শান্ত স্বরে মৃদু লহরে বলবে
প্লিজ! কেদোনা.....
তোমায় এভাবে কাদতে দেখলে কষ্ট লাগে খুব
কান্নার বেগ ক্রমশ বাড়তে থাকবে তোর
হ্যাচকে হ্যাচকে বলবি তুই..
"ক্ষমা করে দিও আমায়........!
সে শুধাবে, আমি তো ভুলে গেছি কবেই...
তুমি এখনো পড়ে আছ?


দীর্ঘশ্বাসের অতলে
হাতের উলটো পাশ ঘষে চোখ মুছবি তুই
ছুতে চাবি লোমশ হাতের পেলব ছোয়া
কিন্তু পাবি না কোথাও..
ব্যকুলভাবে খুজবি আমায় নিখিল বিশ্বে....
জীবনের মুখোশ ঝড়ে পড়বে দীর্ঘশ্বাসে...
আকাশগঙ্গা দুঃখের প্রতীক হয়ে বেচে থাকবি
সুখের মুখোশ পড়ে দুঃখের ছায়ায়...