আমি কবিতার প্রেমে পড়েছিলাম!
যেখানে প্রতি শব্দেই কবির দীর্ঘশ্বাসের স্পন্দন চিৎকার করছিল, কবি অনায়াসে বলে যাচ্ছিলেন তার বিষন্নতা, দুঃখ  ও যাতনার ক্ষুদে গল্পমালা!
কবির তার প্রেয়সীকে ঘিরে মুগ্ধতা, অপুর্ণ স্বপ্নের কথা ও অব্যক্ত ইচ্ছের শ্রুতিলিপি আমার সাধারণ শ্বাস প্রশ্বাসের গতিবেগ দ্রুত করছিল!
এক জায়গায় থমকে যায় কবি, আটকে যায় তার অনুভুতি
স্তব্ধ হয়ে যায় তার গোছালো শিল্পের অগ্রযাত্রা......
আমিও থমকে যাই!
জীবনের নারকীয় বাস্তবতায় ও ঘূর্ণিঢেউয়ে ডুবন্ত আমি পাই না কোন ঠাই কোথাও!
অসীম একাকীত্বে এই বিশাল সমুদ্রে গহবরে ভাসতে থাকি!
একজন বিষন্ন মানুষ!
কবির জীবনলব্ধ কবিতা আমায় প্রলুব্ধ করেনা আর! আমার চেতনার জগতে শুধু দোলাচল নিজেকে অচেনা ভাবার!
অর্জনহীন এই আমি দিতে থাকি পাড়ি অনিশ্চয়তার পথ!
আমাকে থামায়না কেউ! কোন বাধন আমার পথ আগলে দাড়ায়না! দিনশেষে নশ্বর জীবনিকায় আমি যে নিঃসঙ্গ!
তাই বুঝিয়ে দেয় এই ধরা!
কবি আর কথা কহেনা......
বাকরুদ্ধ হয়ে মমি পুতুলের ন্যায় অপেক্ষায় বসে রয়...
কবে ঘটবে সমাপ্তি?