মহুয়া
ঐ রাতগুলোর কথা মনে পড়ে? যে রাতগুলো
আমাদের কাছে খুব সুন্দর স্বপ্ন ছিল!
আমরা দু'জনে ছোট ছোট ফুল দিয়ে স্বপ্নের বাসর সাজাতাম!
ঐ মুহুর্তগুলো মনে পড়ে? যে মুহুর্তগুলোতে আমরা একসাথে শ্বাস নিতাম।
তুমি আমার তপ্ত শ্বাসের উঞ্চ স্পর্শ পেতে, আমি উপলব্ধি করতাম তোমার পেলব বুকের ঢিপটিপ কাপনি!
তুমি কি ভুলে গেছ, আমি খুব বকবক করতাম, তুমি মুগ্ধ হয়ে শুনতে!
আমি মাঝে কথা থামিয়ে জিজ্ঞেস করতাম!
ওগো শুনছ! কিছু বলছো না কেন!
তুমি বলছ তো! আমি মন দিয়ে শুনছি
আমার শুনতেই ভাল লাগে!
আমি অভিমান করতাম, না না! এমন তো হবেনা, তোমাকেও বলতে হবে!
তুমি হাসতে আর বলতে, আপনি এত বাচ্চা কেন!
আচ্ছা এই রাতগুলো কোথায় গেল?
মহুয়া!  ওয়াটস এপের সবুজ বাটনের ভিতর অস্তমিত গল্পগুলো কি এখনো তোমায় কাদায়?
যেখানে শুধু অপেক্ষা আর অপেক্ষা
ও প্রতীক্ষার প্রহর গুণার অজস্র অক্ষরমালা লিপিবদ্ধ ছিল!
তুমি কি এখনো অনলাইন পেয়ে খুশি হও?
তুমি কি মনের আওয়াজ দিয়ে কখনো শুনেছ বেদানার্ত আত্মার নীরব অশ্রু রোদন!!
তুমি কি তোমার আবৃতিগুলো শুন?
যে আবৃত্তিগুলো অনুভুবের মেরুদন্ড বেয়ে শীতল স্রোত বইয়ে দেয়!
যে স্বর আবৃত্তিকারের হৃদয়ের গহীনের ছোট্ট চিলকোঠায় আশ্রয় নিতে চায়!
তুমি কি বুঝ!
আজও রাত নামে, আকাশে চাঁদ উঠে
তারার দল ঝিকমিক করে!
নিকোটিনের ধোয়ার ফুসফুস খুশখুশ করে কাশে ঠিকই!
তবুও তারা শুনেনা আমাদের গল্পগুলো!
তারা একসাথে আমাদের সুখে হাসেনা!
গলায় গলা মিলিয়ে কাদেওনা!
অভিমান করে চলেও যায়না!
তারা আমার কবিতা পড়েনা
তোমার আবৃতিও শুনেনা...
তারা গুণেনা অযথা কথার ডালা!
তারা বুঝেনা ভালবাসা, বুঝেনা ঘৃণা!
তারা কি বুঝে মহুয়া?
তোমার কাছে লেখা আমার প্রথম চিঠি!
জানিনা একে চিঠি বলা যায় কিনা!
চিঠি তো তাই, যা হৃদয়ের বার্তা বয়ে যায়!
তুমি কি আমার হৃদয়ের বার্তা শুনতে পাচ্ছ!
পাচ্ছ ভারি হওয়া নিঃশ্বাস থেকে নির্গত দীর্ঘশ্বাস.....
বিদায় সুরভী!
তোমার সুরে মাতাল হোক নিগুঢ প্রকৃতি!