কনকনে শীতের রাতের আকাশে এক টুকরো চাঁদ
জ্যোৎস্নার আলোয় নগরী ঝলমলে
চারদিকে কুয়াশার শুভ্র চাদর
যেন শিল্পীর আকা অসমাপ্ত তৈলচিত্র
এই যান্ত্রিক শহর ঘুমে কুপোকাত
নিশাচর কুকুরগুলো চিৎকার করে অবিরত
অস্তিত্বের জয়গানে ব্যাস্ত!
ঘুমাও শহরবাসী! আমরা তোমাদের নিরাপত্তায়
সদা দন্ডায়মান! নিশিরক্ষীরা  কালের অন্তরে
হুইসেলে ফুকে সাবধানতার সয়লাব
দূর আকাশে উড়ে যায় উড়োজাহাজ
তার হালকা ধ্বনির উল্লাসে মাতে রাতের মাতালরাও!
তিমির রাত্রে যখন ভুমির বাসিন্দারা নিরব বিশ্রামে
তখন মোরগ ডেকে উঠে বারবার!
কি যেন দেখে! কি যেন শুনে! কি যেন বুঝে!
ফ্যানের অবিরত ঘুর্ণনে নেশা জাগে নিশাচরের
নিকোটিনের বিষাক্ত ছোবলে জর্জরিত শ্বাস
এই অমোঘ ধরার প্রতি তার প্রচন্ড ক্ষোভ
স্রষ্টার দেয়া সুস্থ সুন্দর উপহার জীবন হয়ে উঠে
সাক্ষাৎ অভিশাপ! মৃত্যু কামনায় বিভোর,
ঠিক বিপরীতে রাস্তার ওপারে কাতরায়
এক ক্যান্সারে আক্রান্ত মানুষ!
জীবনের সায়াহ্ন উপলব্ধি জাগে অমুল্য সময়ের
বেচে থাকার প্রত্যাশায়
নিয়তির সাথে অপরাজেয় সংগ্রাম!
নশ্বর ভুবনে বেচে থাকার সময় যে খুব কম!
কত কি দেখার বাকী!
কত কি উপভোগের নেই কোন আশ্বাস!
এই যে অসীম সময়!
সে যদি দিত একটুখানি দেখে যাওয়ার প্রশ্রয়!
সবকিছু নিস্তব্ধ, থমথমে!
যেন কোথাও কেউ নেই! কেউ বেচে নেই!
জগতে কত কি ঘটে, কত কি রটে!
উপরে বসে একজন ঠিকই দেখে!
শব্দের তরংগে লাগে ঘোর সংঘাত
গাছেরাও কথা বলে, জড় দেয়ালগুলোও
চিতকার করে যায়, সব প্রাণীদের কানে
সংবাদ পৌছে, তারা ঝগড়া করে,
স্বাগত জানাই, অভিমানে গাল ফুলিয়ে নিশ্চুপ হয়ে রয়!
সবাই শুনে, হাহাকার করে, শুধু মানুষ শুনেনা
তাদের কর্ণকুহুরে এই আওয়াজ উঠেনা!
অঘুমে অসুখে কুকড়ে যায় শরীর
কবি চিন্তিত হন প্রকৃতির অদ্ভুত খেলায়
এই কি জীবন! এই কি জীবন!
এই প্রশ্ন ঘুরে ফিরে সাড়া জাগায় সমগ্র সত্তায়
কেউ কথা বলেনা, কোন উত্তর আসেনা......
এই ধরায় কেউ ফিরে আসেনা..........