যখন শহরজুড়ে রাত নামে
ক্লান্ত পথিকের দল ব্যস্ত হয়ে নীড়ে ফিরে!
আমার যন্ত্রণাবোধের সুচনা হয়!
আমারো ইচ্ছে জাগে সুন্দর রজনীতে পরিশ্রান্ত একটা নিদ্রার!
একটা স্বপ্নময় শান্তির ঘুম!
যে ঘুম অনুপ্রেরিত করবে একটি নতুন শুরুর!


কিন্তু ইচ্ছে আর বাস্তবতার গল্প ভিন্নতর!
হৃদয়জুড়ে বিষাদ আর চোখের নীরবতা!
ক্লান্ত দুটি চোখ ক্ষমাপ্রার্থনা করে!
মুক্তি চায় নিষ্ঠুর যাতনা থেকে!
তাকে কে বুঝাবে? সবকিছু আত্মার ইচ্ছাধীন নয়!
আত্মাও একটি নির্দিষ্ট পরিসীমায় আবদ্ধ জীব!


আমি আকাশপানে চেয়ে থাকি!
তারাদের গল্প শুনার চেষ্টা করি!
বুঝতে চেষ্টা করি, তারারাও কি আমার ন্যায় নি:সংগ?
রাত জেকে বসে, ভারি হয় নি:শ্বাস!
দেহ ও আত্মার মাঝে লাগে বিবাদ!
আত্মা হুমকি দেয়, একদিন ঠিক ই ছেড়ে চলে যাব! আমি হীন তুই রক্তমাংসের দলা!
দেহ ফিচকে হাসে, আমি তোর অস্তিত্ব! আমি আছি বলেই তুই নিজেকে জিনিস!
আমি হীন তুই শুন্য বাতাস!


এভাবেই হয়ত রাত নামবে আমৃত্যু!
ধীরে ধীরে ক্ষয় ঘটবে আমার!
প্রকৃতি চলতে থাকবে আপন নিয়তিতে!
একদিন মুছে যাবে সকল রঙ!
সাদাকফিনের ভিতর জড় হয়ে থাকবে শরির!
আত্মা হাসবে বিস্বাদ হাসি!
রাত! তুমি আমায় মনে রাখবে?