হোক একটু কবিতা বিলাস
স্মৃতির পাতাগুলো ধুল পড়ে গেছে
অতীতের ব্যাথাগুলো শুধু ব্যাথায়
না থেকে জীবন্ত হয়ে উঠুক!
হাশিশ না পানেও ঘোরে জড়িয়ে যাক
আমিত্বের শিকল
আমার রংহীন পৃথিবী ছুয়ে যাক কাচা পাকা রঙে
পাঠকের মুগ্ধ কন্ঠ যখন কবিতা পাঠে লিপ্ত,
আমি অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকি!
শব্দের উঠানামায় মুহুর্তের অদল বদলে
তার চেহারা কখনো হয়ে উঠে সফেদ মেঘ
কখনো বা আনন্দে উল্লাসিত পাখির হিল্লোল
আমার মন ছুয়ে যায় পরম আনন্দে
কৃতজ্ঞতায় নুয়ে যায় অন্তর
এত প্রশান্তি,  এত সুখ!
আমায় দ্বিধায় উগলে দেয়
এই পরম তৃপ্তি কি ইহকালেও সম্ভব!


একজীবনে নশ্বর মানব আর কি ই বা চাইতে পারে?


আমি শুকরিয়াগুজার!


জীবনের অপুর্ণতা নিয়ে যদি রচিত হয় দুঃখের পর্বতমালা
না চাইতেই দেয়া বিধাতার রহমতেপুর্ণ
প্রাপ্তির সংখ্যাও কিন্তু আকাশছোঁয়া!
অগণিত সেই পুর্ণতার বারিধারা একজীবনে মিলানো সম্ভব?


আমি শুকরিয়াগুজার!


এই নিশির শেষ প্রহরে যখন সমগ্র কায়েনাত ঘুমের রাজ্যে
শায়িত,
তখনো কিছু হাত, কিছু রাতজাগা আখিসিক্ত প্রভুর মুর্ছনায়
তখনো কিছু জিহবা জপে যায় অবিরাম মহামহিমের নাম
মালিকের মুহাব্বতে ব্যাকুল তাদের নিশাচর রুহ,
রাজ্জাকের কাছে দ্বিধাহীন চিত্তে বলে যায় সব না বলা কথা,
কত না পাওয়ার কাসিদা, সব মান-অভিমান,আবেগ, তীব্র বাসনা কাপিয়ে দেয় আরশ!


স্রষ্ঠা যখন বজ্র কন্ঠে ঘোষনা দেন, "ওহে মোর প্রিয় ইনসান!
মন খুলিয়া চাও, যাহা পাইতে চাও"
আমি উজাড় করিয়াছি হাত তব পানে অগণিতবার!


তখন কি চাইবে আমার তরে একটুখানি জান্নাত!
পিপাসার্তের জন্য চাইবেনা হাউজে কাউসারের পরম সুধা?
আমার লাগি বহায়ো না হয় দু'ফোটা ভালোবাসার জল!
যদি কেহ চায় এই শেষবেলায় অভাগার তরে সামান্য খুশব
অধম রইবে চিরতরে মশগুল তব শুকরিয়ায়!


প্রভু!
আমি শুকরিয়াগুজার!


তব রহমতের বারিধারায়
তব মাগফেরাতের মহানতায়
তব করণার মায়ায়!


আমি শুকরিয়াগুজার.......