দেবতারে আমি দেখি নাই শুধু
করেছি যে অনুভব,
তারে জেনেছি মহান স্রষ্টা
তারে জেনেছি রব।
বিপদের মুখে হাহাকার করে
দেবতারে ডাকি যেবা,
দেখি মোর লাগি কাতর নয়নে
চেয়ে জল ফেলে কেবা।
ঝাঁক বেঁধে যেই দূঃখ জ্বালা
জীবন ঘিরিয়া আসে,
দেখি কোন এক দেবতার মুখ
বসে আছে মোর পাশে।
ব্যাথার যাতনে হৃদয় যখন
মরে যেতে চাই ধুঁকে,
দেখি মোর মুখ চাপিয়া ধরিছে
কোন দেবতার বুকে।
দেবতাই মোরে আপন করে
নিমেষেই করে পর,
দেবতাই সব ভাঙ্গা গড়া করে
বেঁধে দিল মোর ঘর।
দেবতাই মোরে পুতুল করে
খেলে গেল কত খেলা,
দেবতাই মোরে বুকে টেনে নিল
শেষ হয়ে গেলে বেলা।
দেবতাই মোর পথের উপর
বিছিয়ে দিল যে কাঁটা,
দেবতাই মোরে সাবধান করে
শিখিয়ে দিল হাঁটা।
দেবতাই মোরে অসুরের বেশে
ঝাপিয়া পড়িল বুকে,
দেবতাই মোরে তিল তিল করে
বাঁচাইয়া রাখিল সুখে।
দেবতাই মোরে জানিয়ে দিল
প্রেম-ঘৃণা-কাম-ক্রোধ,
দেবতার মোরে বুঝিয়ে দিলো
সুস্থ জীবন বোধ।
দেবতাই মোরে শিখিয়ে দিল
কাউকে করোনা হেয়,
মানুষের চেয়ে বড় দৈত্য
দেবতা নয়গো কেহ।
এই মানুষই রক্ত পিপাসু
জানোয়ার উল্লাসে,
এই মানুষই দেবতার মতো
রুখছে সর্বনাশে।
এই মানুষই দৈত্য হয়ে
কেড়ে নেয় সব সুখ,
এই মানুষই দেবতা হয়ে
আশায় বাঁধায় বুক।
আজ বুঝি তাই একটি কথার
গভীর মহত্ত্ব,
মানবের তরে কাঁদিয়া মানব
লভিলো দেবত্ব।।
***********+*************