সাগর, রাস্তা বা দিগন্তের পাশে দাঁড়িয়ে,
এরা কি মানুষ নাকি মানুষের প্রেতচ্ছায়া-
আঁকাবাঁকা শুকনো কতকগুলি কাঠির কঙ্কাল
শুন্যের দিকে এলোমেলো হাত তুলে হাহাকার,
রুক্ষ রুষ্ট রিক্ত জীর্ণ খাওয়া নেই, দাওয়া নেই ঘর নেই ভিটে-মাটি নেই
নেই কোথাও এক আঁচড় সুখের প্রতিশ্রুতি
এক বিন্দু ভালোবাসা পাবার সম্ভাবনা।
দেখছেন না কাঠির কঙ্কাল গুলো রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে হাহাকার করছে,
ছেড়া প্যান্ট,চোখা জামা, রোগা মেজাজ,ঠোকা কপাল।
ওখান দিয়ে গেলেই গাড়ি থামিয়ে খাবার চাইবে,
চেনেন না ওদের ?
ওরা বিরাট এক নৈরাজ্যের বাসিন্দে ।
ওদের কিছু নেই, থিত নেই ভিত নেই রীতি নেই নীতি নেই,
শুধু আছে আইন কানুনের অমানবিক লোহার মিত্যু নামক ঠান্ডা হাতকড়া,
আছে খাবার অথবা বাঁচার তাগিদে শ্লীলতাহানির বিপুল সম্ভবনা ।
ওদের জন্য কলেজে সিট নেই অফিসে চাকরি নেই হাসপাতালে বেড নেই,
যা আছে তা সুধাহরণের ক্ষুধাবরণের উদাহরণ,
ওরা ভুলে গেছে যে তারাও আমাদের মত মানুষ
কাছে গিয়ে মাথাই হাত বুলিয়ে জিঞ্জেস করুন তোমরা কারা?
আমি জানি তাদের বাঁধনহারা চোখের পানিকে নির্দিধায় ছেড়ে দিয়ে বলবে,
আমরা রোহিঙ্গা আমাদের বাঁচতে দাও বাঁচতে দাও বাঁচতে দাও,,,