সারারাত তুমি বসেছিল শীয়রে
নিশাচরের মতো ঘুরে ফিরেছ
নিশীথের স্তব্ধতা ভেঙে,
আমি শুধু গুনেছি দীর্ঘশ্বাস
বুকের ওঠা নামা
তোমার কোলে শুয়ে কেটেছে সারারাত।
রক্তের বেগে ঢেউ উঠে
আছড়ে পড়ে তীরে,আমার মাথা বেঁয়ে
ঘন চুলে ছুঁয়েছে শিশির
এভাবেই কাটে অগুণিত প্রহর,মোমবাতির আলো
পাহারা দিয়েছে শুন্য কুঁড়েঘরে,
হঠাৎ জাগিয়ে তোলে তোমার পিপাসু ঠোঁট
উন্মত্ত শরীরের গন্ধে মঁ মঁ সারাঘর জুড়ে,
দীর্ঘকালীন চুম্বনে সময় চলে।
ক্লান্ত পৃথিবী আরো শান্ত মায়াবী বেশে,
সম্পূর্ণ প্রস্ফুটিত হয় তোমার বুকে
দেহের শ্রান্ত জংগলে ওঠে ঝড়
বাতাসের বেগে প্রকৃতি উন্মাদ
তোমার স্পর্শে,
ফেনিয়ে ওঠে সাগরে জল অগ্নিগর্ভ হয়ে,
যেন অংগার ধারণ করেছি সমস্ত শরীরে
নীল আভায় পৃথিবী মহিমাময়,
তোমার চওড়া ঠোঁট,টিকালো নাখ
শুষে নেয় দেহের সমস্ত নির্যাস,
অগোছালো ছড়িয়ে আছে অন্তর্বাস
ঘরজুড়ে, ভোরের আলোয় থামে ঝড়
প্রভাতের শিশিরে ঠোট ছুঁয়ে
ঘুমিয়েছে দুটো ফুল।।