আমাদের কথা হয়েছিল সেই কবে
আর তো হলো না কত বছর
দেখা হবে ভাবি -
কিন্তু কতদিনের এই জীবন
কে জানে সেই খবর!
শরীরে একটা রোগ জন্মেছে
মগজে মুকুলিত সে রোগের সিমটম;
কোনো মরুতে পথহারা যাযাবর তিয়াসী
যেমন - তেমন
তিয়াসী মৃত্যুচেতনা এই রোগানু লক্ষ্মণ।
শরীরের প্রতি কোষে কোষে
পীরা জাগে, মনে হয় -
শুঁয়োপোকা বেধেছে শরীরে যাপিত জীবন;
ঠোঁটের সাথে ঠোঁটের আলাপে জানতে
এই মুমুক্ষু হৃদয় বলছে -
"ভয় নেই মরতে আমি চাই না
শুধু সত্য এখন -
মৃত্যুর স্বাদে লোভ এসেছে প্রীতিপূর্বক"
তবে তোমাকে না দেখে - তুমি হীনা
মরতে চাওয়া - বাঁচতে চাওয়া
দুই অহেতুক নিষ্ফল!
তাই দ্বিধায় আছি আমি
গভীর জলে মুমূর্ষু সাঁতারুর মতন
ডুবে যাচ্ছি অতলে
তবু দেখতে পাচ্ছি কিঞ্চিৎ কিরন;
তাই মনে মনে হয় -
সংশয় শুষে নেওয়া শরীর
শুষে নেবে জল, আমি ভেসে যাবো।
শুধু তুমি এসো শেষে, সকাশে, সে জলে
যেভাবে চাও মাছরাঙা বা মাঝি হয়ে
আমাকে নিয়ে যেও কোথাও, আলিঙ্গনে।
কারণ - না শুনেও যে যায় শোনা
না দেখেও যে যায় দেখা
না বলেও যে হয়ে যায় বলা কত কত কথা  
শুধু হয় না স্পর্শ তুমি ছাড়া!