ঘুরে ঘুরে দিন যায় শুয়ে-বসে রাত
খেটে খুটে পেট চলে নাকে বাষি খাবারের ঘ্রাণ।
হৃদস্পন্দনে আক্ষেপ নেই অভিমান
দৃষ্টিকোটর সমাজের চোখে আমি রাগী জানোয়ার!


বলি অক্ষুন্ন চিন্তা তোমাদের,
মন এবং মস্তিষ্কের কারখানায় মধ্যবৃত্ত রোবট সেজে ছুটছো অবিরাম।
খিদে মিটলে কষ্ট ঘুচবে
তাহলে কেন করো লুকিয়ে চিৎকার?
সমাজের তটে ভুলে গেছ কি
মন রাস্তা খুঁজে মস্তিষ্ক করে চললাম।
কেনো যে তোমরা মন কে ভুলে সমাজের কথা শুনে হয়ে গেলে ইচ্ছেহীনা কবুতর?


আমি কে?
আমি প্রশ্ন করছি কেনো?
আমি সেজেছি আজ তোমার ছেলেবেলা
বলছি তোমাকে তুমি ছিলে সবার থেকে ভিন্ন।
তুমি না শুনে আমার কথা, দিলে আমার গলায় চাপা
মরে গেলো সাথে তোমার ইচ্ছা।
এখন তুমি রীতি-নীতি মেনে অজানা প্রতিযোগিতায় করে চলছো অন্যমনস্ক নৃত্য!


তুমি বলছো-
তুমি ছিঁড়ছো কোন বাল
রাস্তায় সস্তায় ঘুরেফিরো, নেই কোনো সমাজের মাঝে মান।
পাগল বলে তোমায় সবাই, রাস্তায় তোমার বাস
মুখে বিরবির চোখে স্থির খুঁজে চলো শুধু ত্রাণ।


(হা হা হা হা হা)
আমি!
আমি জানি, আমি জীবনে চেয়েছিলাম কি
জেনে বুঝে ভুল ছিল না আমার কর্ম।
চেষ্টা করেছি দিয়ে আমার সর্বশ
ভাগ্য ফলে হয়েছি বহুবার ব্যার্থ।
হলেও হতে পাড়তাম তোমাদের মতো পথরমুখো
দায়দায়িত্ব বোধে অভিশপ্ত
যাদের চোখে অদৃশ্য বন্যা, যাদের মনে অদৃশ্য ঝড়
তাদের মতো স্মিতহাস্য।


ছোট থেকেই হতে চায় সকলে বড় হয়ে বড়
শুধু বড় হলে হয়ে ওঠে জীবন গড়ায় অনুতপ্ত।
তবে আমি যে ছিলাম ভিন্ন তা বলছে আমার কর্ম হাল না ছাড়া চেষ্টা ফিরে তাকালে দেখি কত।
এখন অনেকের কাছেই আছে টাকা নাই দেখার মতো চোখ
আমার কাছে ছিল না টাকা ছিল দিব্য দুটি সৃজন
চোখ এবং হাসিমুখ।
তাই সমাজ দিল ধার বলে টাকা না বলে মানষিক চাপ আর গড়লো আমায় তাদেরই চোখে আগন্তুক।


লিখেছিলাম_
২৯-০৯-২০২১


অনুপ্রেরণা আমার শহরে সকলের মুখে যে পাগল!