ভ্রমরকৃষ্ণকেশ তাঁর অথৈ সিন্ধু আঁখি
হৃদয় আসমুদ্রহিমাচলে-
প্রেমের বেনোজলে মুমূর্ষু কাগজের নৌকায় বাঁচি!


মৃত পূর্নিমায়-
মেঘমালা আলোড়ন প্রত্যক্ষ ভ্যান গগের তারারাত্রী;
সংশপ্তক চোখে প্রেরণার মুখো অবয়ব দেখে আমি-
তাঁর ছোঁয়ার স্বপ্ন পুষে বেনোজলের আমরণ ডুবুরী।
শুকতারা ঝিকি-মিকি খেলায় মগ্ন নিশীথিনী পৃথিবী।
উপদ্বীপ ভেসে ভেসে এগিয়ে আসে আমার নিকটে-
ডেকে যায় তাঁর ভ্রমর আহরিত মধুর কন্ঠে বিভ্রান্তি।
কানে তাঁর প্রিয়ফুল গুজে দিলে জীবনের মোক্ষমুক্তি
সে ফুল ভিন্ন শহুরে, অদ্ভুত প্রজাতি-আমার ছোঁয়ার সাধ্য তোরন প্রতিকুলবর্তী!


তীরের বালিতে কাচের বোতলে সময় আঁটক-
খুলে মুক্তির মুখ অনুশোচনার অশ্রুতি চিৎকার শুনি!
বহমান গরম হাওয়া, উল্কাপিন্ডের জলন্ত হৃদয় আভা
চোরা বালিতে অপচয় কথার মৃত্যু পূর্ব নগ্ননৃত্য দেখি;
পৃথিবী অক্ষপথে বিপরীতে ঘোরে নিয়তি আর নীতি!
চোখের নালি বন্ধা কাঁদতে পারে না নিস্বার্থে একাকী!
জলপ্রপাত ভিজিয়ে দেয় চোখ তবু একান্ত শেষ ইচ্ছা
তুমি এবং তুমিহীন তুমি।


আক্ষেপহীন ভোরের আগমনী-
প্রিয় শার্টের ছেড়া বোতাম, ছেড়া বুক পকেটে ঝুলছে
একান্ত ব্যক্তিগত দায়িত্বের নিঃস্পৃহ গেরুয়া সুতাটি!
মাছের বুদবুদের ন্যায় দীর্ঘশ্বাস উবু লাশের ঘ্রানে শরীর
চোখের আড়ালে স্বপ্নভ্রান্তি, সূর্য জাগরণে জলরাশি;
কল্পনায় তাঁর ছোঁয়া,সম্প্রদানে প্রিয়ফুলের পুষ্পারতি;
সে ফুল আমার সত্তা, আমার হৃদয় কতৃক তৈরি বীজ
যে মাটি আমার হবে সেখানে গজাবে তোমার প্রিয়-
ফুলের নীড়।


যবনিকাপাতের ঘন্টা বাস্তবতার আয়নায় প্রতিচ্ছবি-
হোমারের অক্ষরহীন মহাকাব্যের দৃশ্যমান চরিত্র তুমি
বিথোভেনের সোনাটায় অনুভূত আবেশের গীতি তুমি।
তোমার ছোঁয়ায় সর্বহারা প্রেম-জলের আমরণ ডুবুরি;
তোমার কানে প্রিয়ফুল গুজে,এ জীবনের মোক্ষমুক্তি।
সংশপ্তক চোখে ভাসামান নিভু নিভু শুকতারার মতো
দিনের আকাশে আলোর গভীরে হারিয়ে যাবো আমি।
অজানা কি? ডুবে যায় মানুষের দেওয়া সকল স্মৃতি!
ঝড়ে যায় ক্রন্দসী ছায়াতরুর শুকনো শেষ পাতাটি-
পরজন্মে না হয় হবো তোমার প্রিয়ফুলের বিটপী__