আমি জোছনায় ভিজবো বলে হৃদয়ের সমস্ত দ্বার খুলে নিষ্পলক তাকিয়ে আছি ভেজা আকাশে, ভেজা অভিমানে ।


যে চাঁদের আলোয় আলোকিত হয়
পৃথিবীর সমস্ত জনগণ,
যে চন্দ্রালোর ভাগীদার বাকি পৃথিবীর ৭ বিলিয়ন হুমো সোপিয়ান্স প্রজাতির প্রানী,
কিংবা কবিদের ঝসলে যাওয়া রুটির মতো চাঁদের জোছনা নয়,
যা দেখেই বিভৎস সৌন্দর্যের কথা মনে হবে!


আমি ভীজতে চাই আমার নিজস্ব মালিকানাধীন চাঁদের জোছনায় ।
ভাসতে চাই তোমার আলোতে ।
যে চাঁদের নিজস্ব আলো আছে!
যে চন্দ্রের সমস্ত মালিকানা থাকবে আমার অধীনে ।
যে ভাবে ইচ্ছে অপব্যাবহার করা যাবে,
অযথা কোথাও জোসনা ছড়াবে- ছিটোবে না;
কোনো আইনের ধার ধারার ভয় থাকবে না;
কোনো পুলিশ কোনো Fir লিখবে না ডায়রিতে;
কোনো গোয়েন্দা তার মূল্যবান সময় নষ্ট করবে না!
পৃথিবী ঘুরবে তার নিজস্ব নিয়মে ।


টানা এক হাজার বছর ধরে ভিজলেও, ভেজার ইচ্ছে তখনো তাজা থেকে যাবে ।
কয়েকবার মৃত্যুর পরও, এই একটি চন্দ্রের স্পর্শ পাবার লোভে,  আবারো জন্ম নেয়ার আকাঙখা সম্পূর্ণ রূপে বেঁচে রবে ভেতরে ।


এক ডজন কবিতার বই অনায়াসে লিখা যাবে, তবুও উপমা ফুরাবে না যে চন্দ্রের;
দিপ্তিমান থেকে যাবে শেষ সূর্যাস্ত অব্দি;
বাকি ৪৫ বছর তার দিক থেকে নজর সরানো যাবেনা;
৪৫ সেকেন্ডে পেরিয়ে যাবে সেই সময়;
যতটা সময় ধরে আলোয় আলোকিত হওয়া যাবে ।


জন্মলগ্ন থেকে আমি বসে আছি জোছনায় গা ভাসাবো বলে ।
আমার নিজস্ব মালিকানাধীন জোসনা!