মগজের ঘামের চিরস্থায়ী অস্তিত্ববাদ নিয়ে,
শুভ্র ঊর্ণাজাল ভেদ করে শুরু হওয়া সকাল
অথবা শুধুই পৃথিবীর ঘূর্ণনে সুর্যালোকের জাগরণ,
পলিথিন পোড়া অসমভেদ্য গন্ধ,পচা খাবারের স্তুপ,
ডাস্টবিনের পাশে কুকুরের মৃতদেহ,
এবং শুকনো ঘামের নিষিক্ত জর্জরিত নিঃশ্বাস,
যতই অযোগ্য করে তুলুক নাগরিক বায়ুমণ্ডল,
আমি দৃঢ়চিত্তে বুকে হাত দিয়ে বলব-
তবু বাতাস নয়,হৃদয় দূষিত এ শহরের।


রোজনামচায় আপাত বিশুদ্ধ মানুষের জাগতিক চলাচল,
নির্দিষ্ট পথ ধরে কর্পোরেট অনূভুতি,
নিয়ত আন্তঃজালিক স্বপ্নেরা বুনেনা নতুন কোন গল্প,
নিকোটিনে খুজে নেয়া সকল বিষাদ,
ফুসফুসের মজ্জা চিরে বেরিয়ে আসা ধুম্র আর্তনাদ,
গাঢ় মরীচিকাময় জীবনের নিত্য দোলাচলে,
যতই পরিবেশবিদ ভাষণ দিক কার্বন ডাই অক্সাইড নিয়ে,
কুহেলীর অঙ্গীকার নিয়ে আমি বলব,
তবু বাতাস নয়,হৃদয় দূষিত এ শহরের।


প্রেমিকার হাত ছুঁয়ে  না দেখা রোমান্টিক পাপ,
যানজটের কোলাহলে অসমাপ্ত ক্রোধ,
শালবনের মিষ্টি ঘ্রাণের ভুলে যাওয়া উত্তরাধিকার,
অথবা দিগন্তের স্পর্শে হারিয়ে যাওয়া রুপকথার গল্প,
সেইসব প্রাগৈতিহাসিক দিনলিপি পেরিয়ে,
আজ শুধুই অন্তরজাত ক্রন্দন ফিরে আসে বারবার,
যতই বিজ্ঞানীরা বলুক শহরের বায়ুসত্তা বিশোধন নিয়ে,
আমি সকল তত্ত্বীয় গবেষণা অস্বীকার করে তারস্বরে বলব  
তবু বাতাস নয়,হৃদয় দূষিত এ শহরের।