ব্যস্ত পৃথিবীর আশাহত ধূপছায়ার কারাগারে,
নিরাশ্রয়ী বৃষ্টির অব্যক্ত জীবনগাথা
হৃদপিন্ডের আবহে উষ্ণতার ঈপ্সিত প্রতীক,
বাংলার চিরন্তন গ্রামের স্বরচিত পান্ডুলিপি,
হিজলতলীর বিল কিংবা শাপলার হাট
অথবা শুধুই নক্সী কাঁথার মাঠের সুতীব্র বিরহ
ভোরের উর্ণাজাল হীরক স্পন্দন
পল্লীবালার হরিণ চোখের দৃপ্ত কাজল মায়া
ঋতুবৃত্তের আবহমান পালাবদল,প্রত্যুষা আবেশ
লাঙলের ভাজে জমে থাকা সতেজ পলিমাটির ঘ্রাণ,
ভ্রমরের মহাকাব্যিক গানের নিমন্ত্রণ,
আসমানীর জাগতিক বেচে থাকার সমীকরণ,
মাঠের সবুজ ললাটে এঁকে যাওয়া সূর্যাস্তের রুদ্রটীকা
সোনার আবেগে ছাওয়া ছোট্ট কুটিরের ভেতর
একরাশ মমতা নিয়ে জেগে থাকা মাটির পিদিম,
দিগন্ত চিরে বয়ে যাওয়া সাদামাটির সড়ক,
একজন শিল্পীর সুতীক্ষ্ণ আচড়ে হয়ে উঠে অবারিত কবিতা,
বাংলার বিস্তৃত ভালবাসা,কলমের প্রেমে ফুটিয়ে তোলা
আর পরম স্নেহে ধারণ করা পল্লীজীবনের দুঃখগাথা,
কিংবদন্তী এক জসীমউদ্দীনের পরশে হয়ে উঠে
সহস্রকাল বেচে থাকা এক অনবদ্য প্রকৃতিগত উপমা।।