বেজন্মা শিশুর মতো তাকিয়ে ছিল যে কবি
সে আমার প্রেমিক, কিম্পুরুষ!
খাঁ খাঁ রোদ্দুর শাহ বাগ চত্বরে পায়তারি
৩৫'র আন্দোলন যেন এক অফলা সঙ্গম!


আমি এ সঙ্গম একরত্তি মানি না!


রোদ্দুরে রোয়াকে বসে নিজ শরীরের একাকীত্ব দেখতে চেয়েছিলাম,
আজ আমায় দেখলেই নিজের মনে হয় সূর্যাস্তের পতন -


তিরিশে বন্দী আমি,
ভুল স্বপ্নে শিশিরে যেন ধুয়েছি বুক।
আস্তাকুঁড়ে জীবন আমার -জীবিকা আর
বেঁচে থাকার লড়ায়ে প্রেম ও প্রেমিকাকে
দিয়েছি কাফন!
বয়সের শৃঙ্খল যেন;
জৌষ্ঠের অতিরিক্ত শীত গলবন্ধ - পশমী চাদরের খরতাপদাহন।


একফালি চাঁদ দেখা আর হবে কি কখনো?
সেই কবে আমি ছিলাম হাঁপন।
সে চাঁদেও আজ কলঙ্ক।
হে রাষ্ট্র  বয়সের শৃঙ্খল
সহস্র ধর্ষিতা নারীর আহাজারি হয়ে
শাহাবাগ চত্বরে  ঘন মেঘ হয়ে জমছে
আমি কিশোর তার প্রত্যুষ সাক্ষী।


দুঃখপোষা মেয়ে যারা!
নারীজাগরণে চরিত্রহীনা অপাদার্থ
আঙিনা ডিঙোলে
যাদের কানে ব্যাঙ্গ বাজে
দাঁতে দাঁত চেপে পিপাসাতুর
তাদের আড়ষ্ট জিভ ;
বিসিএস পরীক্ষায় ঝড় তুলবে বলে
প্রতিউত্তরে  উদ্যত- ।


তারা কেউ সাধারণ মেয়ে নই ,
অনেকের ঠিকানা আসমানিদের
ছাউনীতে ঘেরা নীড় ।
একশো একর জমি নই বরং
প্রতিভার পাপ নিয়ে
ডুবতে ডুবতে, -এতদূর
পথের পাথর ডিঙিয়ে
এসেছিল শাহবাগ চত্বরে।


বিদ্যুৎবেগবতী যে  বাঘিনী মেয়েটা
মিছিলের প্রথম সারিতে দাঁড়িয়েছিল
একরোখা - বয়সের শৃঙ্খল রুখে দিয়ে
ঘরে ফিরবেই- কবির এ দৃঢ়  প্রত্যাশা !