জ্বলন্ত এই মশাল হাতে
          ঘুরছি পথে দিকবিদিক,
কেউগো যদি পিছু পিছু-
          করে আমায় ধাওয়া।
                   দেশকে আজি পাহাড়া দিয়ে
                       শুন্যে আমি আনোন্দিত-
আনোন্দিত সবুজ গাঁয়ে-
        সবুজ গাঁয়ের সবুজ শিশু;
বক্ষ হতে ছিনিয়ে নিয়ে
       কমোল হাতের নীল নিশান।
                 নবীন ঘাটে আঁচল পাতি
                 আজিকে আমি আনোন্দিত;
আনোন্দিত তমাল বনে-
     গড়ুর পাখি শাখ বাজায়,
যুদ্ধে মেতে তরুণ যুবা,
     বীর কন্যা সজ্জা সাজায়।
                আসছে ফিরে নবীন কুমার-
       আসছে ফিরে প্রলয় শেষে,
       আজকে আমি আনোন্দিত
                 ঘোর বিজয়ের শেষ ক্ষণে।
উরছে খড়গ বনবনিয়ে-


     মায়ের হাতে মাথার উপর,
কাটছে যে শির একেএকে
     অরাতির ঐ ভাঙ্গছে পাঁজর।
                  জাগছে কাঁপন শরীর জুড়ে
         মরণদূতে ডাকছে হায়!
আজকে আমি আনোন্দিত-
         দেশদ্রোহির রক্ষা নাই।।