চক্ষুতে মোর রক্ত ঝরে, ঊর্ধ্বশ্বাসে ক্রন্দন রূপে
যখন আমার ভাইকে আমারই চোখের সামনে মেরে ফেলে।
চক্ষুতে মোর রক্ত ঝরে , বিচারালয়ের চৌকাঠ পেরুতে পেরুতে
মুখোশ খুলে বেরিয়ে আসা বিকৃত মুখ দেখে।


চক্ষুতে মোর রক্ত ঝরে, ওরা ডাক্তার মেরে ফেলে
সেবার ব্রতে গোটা জীবন ব্যয় করে যে মোটা পুস্তকে।
চক্ষুতে মোর রক্ত  ঝরে ,  কোভিডের তান্ডবে
প্রহসনের লকডাউনে,  হাসপাতালের দুয়ারে লাশের মিছিল দেখে
ভেজা চোখে ঐ আকাশকর্তার কৃপা চেয়ে।


চক্ষুতে মোর রক্ত ঝরে , ব্যবসায়ীর লুলুপ্ত দৃষ্টি দেখে
মহামারীর দোহাই দিয়ে কন্ঠনালি চেপে ধরে, ভাইয়ের চাকরি চলে যায়।
বদ্ধ ঘরে রিকশাওয়ালা রমিজের খালি হাড়ি ঝনঝন করে
চক্ষুতে মোর রক্ত ঝরে, চাকরির ভয়ে গার্মেন্টসকর্মী শিউলির মহামারী জয়ের সাহস দেখে।


চক্ষুতে মোর রক্ত ঝরে, দেশের টাকা চলে যায় গোপন ঘাতকের হাতে
লোভে মত্ত ঘাতকের , মায়ের পিঠে আমোদিত চিত্তে ছুরিকাঘাত দেখে।


চক্ষুতে মোর রক্ত ঝরে, মস্তিষ্করা দেশ ছেড়ে দেয়
থেকে গেলে হাত পা বেধে স্তব্ধ করে  দেয় তার কন্ঠনালী,
রক্তঝরা চক্ষুতে আমি তরুনের ঊর্ধ্বশ্বাস দেখি
দেখি তার স্বপ্ন রাত্রির হিংস্রতায় হচ্ছে  বিলীন।


রক্তঝরা চক্ষু মোর দূরদৃষ্টিতে তাকায় এক কবির খুজে,
যে মেঘাচ্ছন্ন আকাশ বাদে রাত্রি জুড়ে সকাল দিবে।
মেঘের ফাঁকে চাদ হাসাবে, বন্দি দশার শেষ ঘটাবে।
বিচারবাড়ির জং ছুটাবে, মুখোশের ভিড়ে বিকৃত মুখ আর ঔদ্ধত্যকে গুড়িয়ে দিবে।
লুলুপ্ততা, শ্রমিকের জীবন জুয়া আর রমিজের অনাহারের নাশ ঘটাবে।
আকাশ কর্তার কৃপা হলে, আমার কবি দেশ বাচাঁবে ।