ইদানিং বড্ড বেশি ব্যার্থ লাগে নিজেকে
মানুষ হয়ে মানুষের দুঃখ অনুধাবন করতে পারিনা ।
কারো দুঃখের কথা শুনলে
মূক হয়ে আসে এক সময়ের সিংহালী কন্ঠ ।
শুনেছি ‘আকাশ’ ভেংগে পরে দুঃখের সাথে
আজকাল তাই সাহস করে ‘আকাশ’ দেখিনা ।
খুব বেশি প্রয়োজন হলে মানুষের বুক পকেটে নাক রাখি
শস্যের গন্ধ শুকি,
ডিজেলের গন্ধ শুকি ।
ভুল করেও চোখ রাখিনা মানুষের চোখে;
ওদের চোখে অভিষপ্ত জীবনের পান্ডুলিপী পড়তে আমার লজ্জা হয় ।
বিক্রয়ের উৎসব নামে প্রকাশনায়-
শোকের কোন উপন্যাস পৌছে যায় বিলাশী পাঠকের সেলফে ।
জীবনের দুঃখ গুলো এভাবেই জমা পড়ে ধনীদের কাষ্ঠঘরে ।
বছর শেষে পাঠকের প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষ ভোটে
অথবা জুরিবোর্ডের নির্বাচিত বিচারকের মতামতে
লেখকের হাতে উঠে আসে শ্রেষ্ঠত্বের পুরুষ্কার ।
আফিম ও নগরের শ্রেষ্ঠ নারী-ই তখন লেখকের বিষয়বস্তু ।
তৃপ্তির ঢেকুরকে অভ্যর্থনা জানাতে থাকে হোটেলের বেয়ারা ।