স্তম্ভিত হবার আগেই মটরের গভীর থেকে
বেরিয়ে আসে গোপন বৈভব।
আমলকির শাখায় পিঁপড়া অক্ষরে
লিখা আছে- বাঁকা নীল চাঁদের আত্নকাহিনী।
কালো ট্রাঙ্কের অন্ধকার জলে টুপ করে পড়ে গ্যাছে হাত ঘড়ি
আমার এখন ঘন্টা নেই, মিনিট নেই, সেকেন্ড নেই।
ধূসর খামে একটা সময়হীন কাগজের চিঠিতে
বর্ণমালার জলোচ্ছ্বাসে বিকল্প জীবন খুঁজি।
উদগ্র ঔৎসুকে যার হাত ধরে জীবন বদলাতে চাই
সে উড়ে যায় গ্যাস বেলুনের মত, নক্ষত্রের দিকে।
নিজের শরীরকে পৌনঃপুনিকভাবে আয়নার সামনে রাখিনা
শরীর ও হৃদয়ের সংঘাতে অদৃশ্য রক্তক্ষরণ; বহুদিনের।
মানুষ ও বানরের কাছাকাছি থেকে
ভুলে যাই পৈত্রিক পরিচয়।
আজকাল আতংকিত হই মানুষের অঙ্গিকার বাণীতে
তবে, পুলকিত হই ঘাস বেড়ে ওঠার শব্দে,
প্যাঁচার সংগীতে।
মানুষের হৃদয় থেকে উবে যায় প্রেম
কর্পূরের মত ।
এখনো আশ্চর্য ভাবি- চিরকাল অজ্ঞাত রয়ে গেলো ভালোবাসা।
প্রেমহীন সংসারে ফিরতেই গুটিয়ে যায় নৈর্ব্যক্তিক আকাশ।
বাবুই পাখির মত ঝুলন্ত পৃথিবীতে আমি অচঞ্চল।
মানুষের সমুদ্রে কেবল নাকটুকুই পানির উপরিভাগে
যেমন বেঁচে থাকে মহিষ।