হুমায়ুন আজাদ সম্পাদিত ‘আধুনিক বাঙলা কবিতা’ (১৯৯৪)- এর গ্রন্থে প্রথমেই রয়েছে জীবনানন্দ দাশের কবিতা। এ সংকলনে জীবনানন্দ দাশের ২২টি; সুধীন্দ্রনাথ দত্তের ২০টি; অমিয় চক্রবর্তীর ১৯টি; বুদ্ধদেব বসুর ১৯টি এবং বিষ্ণু দে’র ২০টি কবিতা অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তিরিশি এই পাঁচজন কবির মধ্যে সর্বাধিক কবিতা রচনা করেছেন জীবনানন্দ দাশ। তাঁর ৭টি কাব্যগ্রন্থে পাওয়া যাবে তিনশতকের কাছাকাছি কবিতা; আর অগ্রন্থিত রয়েছে তিনশতকেরও অধিক সংখ্যক কবিতা। কবিতার সংখ্যাগত বিশ্লেষণে অনেক কম কবিতা নেওয়া হয় জীবনানন্দ দাশের। তাই ধ’রে নিতে পারি কবিতার সংখ্যাগত দিক থেকেও  বিচার্য বিষয় হ’য়ে উ’ঠে কবিতার মান বা উপযুক্ততা বা উৎকৃষ্টতা। তাই সেই হিশেবে অনেক বেশি কবিতা অন্তর্ভুক্ত করা হয় সুধীন্দ্রনাথ দত্তের। সুধীন্দ্রনাথ দত্তের ৭টি কাব্য গ্রন্থে মোট পাওয়া যাবে ১৮৫ টি কবিতা। যার থেকে ‘আধুনিক বাঙলা কবিতায়’ নির্বাচন করা হয় ২০টি কবিতা। গড় অনুপাতে একটি কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয় দু’য়ের অধিক সংখ্যক কবিতা। চমৎকার নির্বাচন হুমায়ুন আজাদের। গড় অনুপাতে তিনি নেননি অধিক কবিতা বা বাদ রেখে দেননি কোনো কাব্যগ্রন্থকে। কাব্য সংখ্যার দিক থেকে ‘আধুনিক বাঙলা কবিতায়’ জীবনানন্দ দাশের কবিতা নির্বাচন করা হয় গড়ে তিনের অধিক সংখ্যক কবিতা।                  

হুমায়ুন আজাদ সম্পাদিত ‘আধুনিক বাঙলা কবিতা’ (১৯৯৪)-এর সংকলনটিতে দশটি বা ততোধিক কবিতা রয়েছে এমন কবিরা হলেনঃ জীবনানন্দ দাশ, অমিয় চক্রবর্তী, সুধীন্দ্রনাথ দত্ত, বুদ্ধদেব বসু, বিষ্ণু দে এবং শামসুর রাহমান। পাঁচের অধিক কিন্তু দশের কম সংখ্যক কবিতা রয়েছেন এমন কবিরা হলেনঃ সমর সেন, সুভাষ মুখোপাধ্যায়, সুকান্ত ভট্টাচার্য, শঙ্খ ঘোষ, শক্তি চট্টোপাধ্যায়, সৈয়দ শামসুল হক, শহীদ কাদরী, রফিক আজাদ, নির্মলেন্দু গুন, হুমায়ুন আজাদ এবং আবুল হাসান। অবশিষ্ট্য  যারা বাদ থাকলেন তাঁদের কারো কারো ১টি, ২টি, ৩টি, ৪টি ক’রে কবিতা নির্বাচন করা হয়েছে ‘আধুনিক বাঙলা কবিতা’ সংকলনটিতে। বুদ্ধদেব বসু সম্পাদিত ‘আধুনিক বাংলা কবিতা’(পঞ্চম সংস্করণঃ ১৯৭৩) এবং হুমায়ুন আজাদ সম্পাদিত ‘আধুনিক বাঙলা কবিতা’(১৯৯৪)-এর সংকলনে যে সব কবি সমানভাবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন তাঁরা হলেনঃ জীবনানন্দ দাশ, অমিয় চক্রবর্তী, সুধীন্দ্রনাথ দত্ত, অচিন্ত্যকুমার সেন গুপ্ত, প্রেমেন্দ্র মিত্র, অজিত দত্ত, বুদ্ধদেব বসু, বিষ্ণু দে, সঞ্জয় ভট্টাচার্য, অরুণ মিত্র, অশোকবিজয় রাহা, দিনেশ দাস, সমর সেন, মনীন্দ্র রায়, সুভাষ মুখোপাধ্যায়, বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, অরুণকুমার সরকার, নরেশ গুহ, নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, সুকান্ত ভট্টাচার্য, শরৎকুমার মুখোপাধ্যায়, শঙ্খ ঘোষ, অলোকরঞ্জন দাশ গুপ্ত, শক্তি চট্টোপাধ্যায়, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, বিনয় মজুমদার এবং হুমায়ুন কবির। বুদ্ধদেব বসু সম্পাদিত ‘আধুনিক বাংলা কবিতা’র পঞ্চম সংস্করণে দেখতে পাই সর্বাধিক সংখ্যক কবিতা নেওয়া হয় জীবনানন্দ দাশের। এ ব্যাপারটি আমার কাছে বেশ আশ্চর্য লাগে ! যে ব্যাপারটি দেখা দেয় বর্তমান সময়ের ‘আধুনিক বাঙলা কবিতা’র সংকলনটিতে-ও। বুদ্ধদেব বসুর সম্পাদনার গ্রন্থটিতে সুধীন্দ্রনাথ দত্ত ও বিষ্ণু দে’র কবিতা নির্বাচন করা হয় খুব-ই কম। তাঁদের দু’জনকে সীমাবদ্ধ ক’রে রাখা হয় দশের কম সংখ্যক কবিতা দিয়ে। এ দু’জন  থেকেও  অধিক সংখ্যক কবিতা নির্বাচন করা হয় প্রেমেন্দ্র মিত্রও অজিত দত্তের। এদের সবার থেকে আরো ও অনেক বেশি এগিয়ে থেকে সমর সেন। যার দ্বিতীয় থেকে পঞ্চম সংস্করণ পর্যন্ত অন্তর্ভুক্ত করা হয় ১৩ টি ক’রে কবিতা।      
  
বুদ্ধদেব বসু সম্পাদিত ‘আধুনিক বাংলা কবিতা’(১৯৫৪) এবং পরবর্তী সংস্করণগুলোতে সর্বাধিক সংখ্যক কবিতা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এমন পাঁচজন কবি হলেনঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, জীবনানন্দ দাশ, অমিয় চক্রবর্তী, বুদ্ধদেব বসু এবং সমর সেন।


বর্তমান সময়ে হুমায়ুন আজাদ সম্পাদিত ‘আধুনিক বাঙলা কবিতা’(১৯৯৪)-এর সংকলনে সর্বাধিক সংখ্যক কবিতা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এমন কবিরা হলেনঃ জীবনানন্দ দাশ, অমিয় চক্রবর্তী, সুধীন্দ্রনাথ দত্ত, বুদ্ধদেব বসু, বিষ্ণু দে এবং শামসুর রাহমান। সমান সংখ্যক কবিতা রয়েছে এ সংকলনে এমন কবিরা হলেনঃ সুভাষ মুখোপাধ্যায়, সুকান্ত ভট্টাচার্য, শক্তি চট্টোপাধ্যায়, শহীদ কাদরী এবং রফিক আজাদ। যাঁদের প্রত্যেকের নেওয়া হয়েছে ৭ টি ক’রে কবিতা। সৈয়দ শামসুল হক, নির্মলেন্দু গুন, হুমায়ুন আজাদ এবং আবুল হাসান; যাঁদের নেওয়া হয়েছে ৬টি ক’রে কবিতা। বুদ্ধদেব বসু’র  সম্পাদনায় ‘আধুনিক বাঙলা কবিতা’ গ্রন্থে; তাঁর নিজের কবিতা অন্তর্ভুক্ত করেন দশ বা ততোধিক। পরক্ষনে, হুমায়ুন আজাদ তাঁর সম্পাদনায় ‘আধুনিক বাঙলা কবিতা’ গ্রন্থে নিজের কবিতা অন্তর্ভুক্ত করেন মাত্র ছয়টি। বুদ্ধদেব বসু সম্পাদিত ‘আধুনিক বাংলা কবিতা’র গ্রন্থে ঐ সকল কবি ছাড়াও রয়েছে আরও অনেক আধুনিক কবি; যাঁদের নেওয়া হয়নি হুমায়ুন আজাদ সম্পাদিত ‘আধুনিক বাঙলা কবিতা’র গ্রন্থে। আবার একই ভাবে হুমায়ুন আজাদ সম্পাদিত ‘আধুনিক বাঙলা কবিতা’ গ্রন্থে রয়েছে অনেক আধুনিক কবি যাঁদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি বুদ্ধদেব বসু সম্পাদিত ‘আধুনিক বাংলা কবিতা’ গ্রন্থে। বুদ্ধদেব বসুর গ্রন্থে যেমন রয়েছে প্রচুর সংখ্যক পশ্চিম  বাঙলার কবিদের কবিতা; তেমনি হুমায়ুন আজাদ সম্পাদিত ‘আধুনিক বাঙলা কবিতা’ গ্রন্থে এসেছে বাঙলাদেশের কবিদের কবিতা। যদিও তাঁরা সমান ভাবে পরিচিত ছিলেন আধুনিক কবি ব’লে। তাঁরা কবি; আধুনিক কবি এবং বাঙলা ভাষার শ্রেষ্ঠ আধুনিক কবি। তাঁরা কবি, কবিতা লিখেছেন, এবং তা বাঙলা ভাষায়। সেই সব কবিতা গণ্য হয়েছে ‘আধুনিক বাঙলা কবিতা’ বলে। বুদ্ধদেব বসু সম্পাদিত ‘আধুনিক বাংলা কবিতা’র কোনো সংস্করণেই আমরা পাই না শামসুর রাহমান, সৈয়দ শামসুল হক, শহীদ কাদরী, মহাদেব সাহা, সাধনা মুখোপাধ্যায়, আহসান হাবীব, আব্দুল গণি হাজারী, হাসান হাফিজুর রহমান, পূর্ণেন্দু পত্রী, মোহাম্মাদ রফিক, নির্মলেন্দু গুন, ফরহাদ মজহার, আবুল হাসান এবং অমিতাভ দাশ গুপ্তের কবিতা। খুব আহত হই আমি। ব্যাপারটি আমাকে বেশ কষ্ট দেয়। এদের মধ্যে থেকে তিনজন কবি সেই সময়ে বেশ পরিচিত ছিলেন; শামসুর রাহমান, সৈয়দ শামসুল হক এবং নির্মলেন্দু গুন। যদিও তাঁরা আজও সমানভাবে পরিচিত এবং জনপ্রিয় ; কবিতার জগতে। যাঁদের কবিতা অনায়াসে আসতো পারতো বুদ্ধদেব বসু সম্পাদিত ‘আধুনিক বাংলা কবিতা’র গ্রন্থে। বুদ্ধদেব বসু ‘আধুনিক বাংলা কবিতা’র সংকলন এবং পরবর্তী সংস্করণ যখন প্রকাশ করেন; তখন কি প্রকাশিত হয়েছিল এমন কোনো কবিতার গ্রন্থ যেখান থেকে তিনি বেঁছে নিবেন তাঁদের কে ? তাঁরা কি তখনও হ’য়ে উঠেনি পরিপূর্ণ রূপে মেধা ও মননে আধুনিক কবি ব’লে ! না, তাঁরা থেকে ছিলেন চক্ষুর অন্তরালে; যেখানে কোনো আলো-ই পৌছায় না ! বুদ্ধদেব বসু সম্পাদিত ‘আধুনিক বাংলা কবিতা’র পঞ্চম বা শেষ সংস্করণটি প্রকাশিত হয়েছিল (আশ্বিনঃ ১৩৮০: সেপ্টেম্বর, ১৯৭৩)-এ। তার পূর্বেই প্রকাশিত হয়েছিল ঐ সব কবিদের কাব্যগ্রন্থ।  


                                    
শামসুর রাহমানের ‘প্রথম গান, দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে’ (১৩৬৬); সৈয়দ শামসুল হকের ‘একদা এক রাজ্যে’ (১৯৬১); শহীদ কাদরীর ‘উত্তরাধিকার’ ( ১৯৬৬); মহাদেব সাহার ‘এই গৃহ এই সন্ন্যাস’ ( ১৯৭২); সাধনা মুখোপাধ্যায়ের ‘আকাশকন্যা’ (১৯৫৯); আহসান হাবীবের ‘রাত্রিশেষ’ (১৯৪৭); আব্দুল গণি হাজারীর ‘সামান্য ধন’ (১৯৫৯); হাসান হাফিজুর রহমানের ‘বিমুখ প্রান্তর’ (১৩৭০);  মোহাম্মাদ রফিকের ‘বৈশাখী পূর্ণিমা’ (১৩৭৭); নির্মলেন্দু গুনের ‘প্রেমাংশুর রক্ত চাই’ (১৯৭০); ফরহাদ মজহারের ‘খোকন ও তার প্রতিপুরুষ’ (১৯৭২); আবুল হাসানের ‘রাজা যায় রাজা আসে’ (১৯৭২); পূর্ণেন্দু পত্রীর ‘একমুঠো রোদ’ (১৯৫১); অমিতাভ দাশ গুপ্তের ‘সমুদ্র থেকে আকাশ’ (১৯৫৭) এবং রফিক আজাদের ‘অসম্ভাবের পায়ে’ ( ১৯৭৩)- এ প্রকাশ পায়। যা আধুনিক বাঙলা কবিতার পঞ্চম সংস্করণের বা তারও পূর্ববর্তী সময়ে প্রকাশিত হয়েছিলো। তাঁদের কবিতা অন্তর্ভুক্ত হ’তে পারেনি সেই সময়ের সম্পাদিত আধুনিক বাঙলা কবিতার গ্রন্থে। বুদ্ধদেব বসু কবিতার সংকলনটি সম্পাদনা করেছিলেন তাঁর নিজের মতো ক’রে। কবি ও তাঁদের কবিতা নির্বাচন করেছেন নিজের একান্ত মনে; সেখানে অন্য কেউ নেই, ছিলেন না। শামসুর রাহমানের কবিতা প্রকাশিত হয়েছিল ‘কবিতা’ পত্রিকায় এবং সম্পর্ক ছিল ঐ পত্রিকার সাথে; তিনি ও বাদ পড়ে যান ‘আধুনিক বাঙলা কবিতা’র গ্রন্থ থেকে। শামসুর রাহমান; যিনি বাঙলাদেশের প্রধান কবি; সম্পূর্ণ ভাবে আধুনিক মন ও ভাবনার বিশ্বে।


বুদ্ধদেব বসু সম্পাদিত ‘আধুনিক বাঙলা কবিতা’, যেমন ব্যর্থ কবি নির্বাচনে এবং একই ভাবে ব্যর্থ তাঁদের কবিতা নির্বাচনে। বুদ্ধদেব, তাঁদের কবি হিশেবে জাগ্রত করেননি তাঁর সম্পাদিত এ গ্রন্থে। এ সংকলনে এমন অনেক কবি আছেন যারা এর বাইরে কবিতার সাথে আর কোনো দিন সম্পর্ক রাখেননি। কিন্তু তাঁরা স্থান ক’রে নিয়েছেন ‘আধুনিক বাঙলা কবিতা’র গ্রন্থে। সমান ভাবে পরিচিত থাকা সত্ত্বেও অন্তর্ভুক্ত হ’তে পারেননি এ গ্রন্থটিতে অনেক আধুনিক কবি। গ্রন্থটির সংস্করণের পর সংস্করণ বের করেছেন; বৃদ্ধি ঘটিয়েছেন তাঁর শরীর; মান ও কবিতা থেকে অনেক দূরে অবস্থান করিয়েছেন এ গ্রন্থটিকে।  


বুদ্ধদেব বসু সম্পাদিত গ্রন্থটির দুইদশকের কিছু বেশি সময় পরে আবার দেখা দেয় ‘আধুনিক বাঙলা কবিতার’ আরো একটি উৎকৃষ্ট সংকলন। যা পরিপূর্ণ রূপ পায় হুমায়ুন আজাদের হাতে। তাঁর সম্পাদিত ‘আধুনিক বাঙলা কবিতা’র ভূমিকাতে প্রকাশ করেনঃ ‘আধুনিক বাঙলা কবিতার প্রতিটি সংকলন দুটি ত্রুটি বহন করে থাকে; বুদ্ধদেব বসু  সম্পাদিত ‘আধুনিক বাংলা  কবিতা’র (১৯৫৪) মতো মিশ্রণ ঘটায় আধুনিক ও প্রথাগত কবিতার, বা এমন অনেকের কবিতা সংকলন করে, যারা কবি নন।’ হুমায়ুন আজাদ পরিত্যক্ত করেছেন সেই সব কবিদের, আসলে যারা কবি নন। তাঁর সম্পাদিত ‘আধুনিক বাঙলা কবিতা’র গ্রন্থে আমরা দেখতে পাই না যতীন্দ্রমোহন বাগচী, সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত, সুকুমার রায়, যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত, প্রমথনাথ বিশী, হেমচন্দ্র বাগচী, রাধারানী দেবী, বিমলা প্রসাদ মুখোপাধ্যায়, বিমলচন্দ্র ঘোষ, হরপ্রসাদ মিত্রের মতো কবিদের কবিতা। যারা কবি ছিলেন বুদ্ধদেব বসু সম্পাদিত ‘আধুনিক বাংলা কবিতা’র গ্রন্থে।  
                
বুদ্ধদেব বসু সম্পাদিত ‘আধুনিক বাংলা কবিতা’ গ্রন্থটি অতিক্রম করেছে ছয় দশকের বেশি সময়। এ গ্রন্থটি আধুনিক বাঙলা কবিতার পরিপূর্ণতার স্বাদ কতোটুকু আনতে পেরেছিল তা আমাদের আর অজানা নয়। হুমায়ুন আজাদ সম্পাদিত’ আধুনিক বাঙলা কবিতা’র সংকলনটি অতিক্রম করেছে দুইদশক সময়। বেরিয়েছে অনেকগুলো মুদ্রণ; নতুন কোনো সংস্করণ আর হয়নি; সম্ভাবনাও আর নেই। ঐ গ্রন্থটি ‘আধুনিক বাঙলা কবিতার’ এক সুসংগ্রহ। অক্ষয় থেকে যাবে ঐ গ্রন্থের কবি ও কবিতার সংখ্যাগত দিকটি ? তা আজ জানি না। হয়তো আরও কয়েক দশক পর কারো হাতে দেখা দিবে ‘আধুনিক বাঙলা কবিতার’ নতুন কোনো গ্রন্থ। যেখানে অন্তর্ভুক্ত হবেন আরও অনেক আধুনিক বাঙলা কবিদের কবিতা এবং নির্মম ভাবে বর্জিত হবেন কোনো কোনো কবি !