বলবো না ভালোবাসি, তোমাকে চাই, অনাবৃষ্টির এই বু’কে; অন্তহীন গভীর স্পন্দনে;
শূন্যেতা আর বিহব্বলতা যেখানে মিশে আছে, হেমন্তের তীব্র কঠিন সুখ; নীলবনে,  
প্রতিজ্ঞায় মনে মনে, জ’মে থাক অব্যক্ত কণ্ঠস্বর, যে কথা রক্তিম আনন্দ, স্তব্ধতা,  
শূন্যের নির্ঝরে, হৃদয় উত্তাপ তার রোদের ঝিলিক; হৃদপিণ্ডে জ’মে থাকে মধুরতা,
বিষাদের কঠিন সুর; জলে-জলে নিবিড় সমুদ্রে উচ্ছ্বাস; ফাল্গুনের মধ্যেদিনে রক্তিম
                  
শূন্যতা, কৃষ্ণচূড়া, রক্তজবা প্রতিধ্বনি আমার বু’কে; কেঁপে উঠা স্বরে তোমার প্রেম;
আজ নির্বাসিত; পরিত্যক্ত। হৃদয় আজ মূল্যহীন; তার গভীর আবেদনে,যারা চলে
গেছে আমার বন-উপবন উপড়িয়ে; তাঁদের আর ডাকি না করুণ স্বরে হিল্লোলে;
মধ্যেরাতে কান পেতে শুনি নীরবতার কণ্ঠস্বর; যারা নিদ্রাহীন ফেলে গেছে আমায়
তবুও; আমি স্নিগ্ধ চাঁদকে বু’কে তু’লে নিই ভেঙে পড়া জ্যোৎস্না জ্বেলে দিবে সন্ধ্যায়
                    
তার আপন আলোয়। বুঝতে পারি দগ্ধ হবো; ক্ষতে ভ’রে যাবে আমার মসৃণ শরীর;
মাছির প্রিয় খাদ্য হ’বে; আমার রক্তে জ’মে থাকা অম্লান জল, মুছে যাবে সমস্ত স্বরে  
যা, বিষে মিশিয়ে যাবে সঙ্গীতের প্রগাঢ় সুরে; আমার পাঁচ আঙুল তাঁদের নীল বৃষ্টিপাত;
যারা সঙ্গোপনে বেঁছে নেয় আমার সোনালী দিন। হয়তো গ’লে যাবো; নিসর্গ অশ্রুতে;  
ঢেউয়ের গভীর শব্দে; মেঘমালা আর ঝ’রে পড়া নিসর্গের বিষাক্ত ছোঁয়ায়, শাদা হিমে,
                  
আমার হৃদপিণ্ড, তোমার হাতে দিয়েছি; উল্টে-পাল্টে দেখতে পারো তার রক্তিম
ছোঁয়ায় মিশে আছে কঠিন পবিত্রতায়। গ’লে যাওয়া শরীরে; আবার ফিরে আসুক
রোদনের চিহ্ন নিয়ে; সামান্য বাতাসে ভেঙে পড়ে আমার স্বপ্ন; নির্মমভাবে আমাকে
নিয়ে যায় দু’চোখের একান্ত গভীরে। করুণ তোমার অশ্রুমালা; আঁখি তাঁরায় গেঁথে
থাকে সন্ধ্যার কুয়াশায়; গাঢ় নিসর্গ সন্ধ্যায়; আমাকে তু’লে নিয়েছে কৃষ্ণচূড়ার ব্যর্থ
                  
রঙে; তোমার করতলে প’ড়ে থাক সুনিবিড় আলিঙ্গনে, যা নিপুণ হাতে নিয়ে যায়
কঠিন জ্যোৎস্নার রক্তবীথি হিমে। আমার উদ্যান উদ্ভিদহীন; তার জীর্ণ নীলছায়ায়
জ’মে থাক হারানো আলিঙ্গনে; যারা আমাকে তু’লে নিয়েছিল শরীরের গভীরে;
যেখানে প্রচণ্ড সুখে গিয়েছে কেটে প্রজাপতি আর ঝ’রে পড়া কোমল স্নিগ্ধস্বরে;  
নীল জলে মুছে গেছে জমানো সব দুঃখ; চাঁদ আর জ্যোৎস্না যেখানে জ’ড়ো হয়
                    
পবিত্র রাত ভেবে; কোমল বাতাসে সুঘ্রাণ ছড়ায় তার দিকে দিকে; সংগীতময়
আমার নীলছোঁয়া, প্রোজ্জ্বল গভীরে জ্যোতির্ময় পড়ে থাকা ব্যর্থ সম্পর্ক, শূন্যতা
আদিম উৎসবে; চিত্রকল্পের সব ভাবনা ইন্দ্রিয়ের গভীরে লুকিয়ে থাকার মতো
আঁখিপাতে; ঝ’রে পড়ে মৃদুবাতাসে, সোনালী সম্পর্ক ফিরে পায় নির্মম ফাল্গুনে,
সব উদ্যান, নিবিড় জ্যোৎস্না আর নিসর্গ সন্ধ্যা ভুলে যাও; আমার স্নিগ্ধ মননে।