তোমরা গেয়ে উঠলে গান একই সুরে, ভেসে আসা শূন্যতার
মুখোমুখি, উজ্জ্বল আলোর প্রতিক্ষণে মসৃণ আর স্নিগ্ধ বেহালার সুরে;
কোমল আর তীব্র অভিমানী কেউ কেউ, শিশিরের জলে মুখ লুকালে
হৃদয়ের গভীর থেকে, নদীর জলে প’ড়ে রইলো হারিয়ে যাওয়া ব্যথিত
অতীত, আলো আর আঁধারে দাঁড়িয়ে থাকা শ্রাবণ বাতাসে অমল
                    
পুণ্যময়তায়, যারা ভুলে গেল ভাবনার মৌনতা; শুভ্রতা মিশে থাকে
নির্ঝর পদ্মজলে; প্রোজ্জ্বল গাঢ় অর্থময় পৃথিবীর পথ থেকে নিরুদ্দেশে
ম্রিয়মান নক্ষত্রের বিশাল আকাশে কুয়াশার নিবিড় গভীরে জীবনের
টুকরো টুকরো স্বপ্ন হারিয়ে গেল কোনো এক মাঘের দুপুরে; আমিও
হৃদয়ের গভীরে নিসর্গমালায় হারিয়ে যাই স্মৃতি আর চাঁদকে বু’কে নিয়ে
                    
দাঁড়িয়ে থাকি একাকী ও নিঃসঙ্গতায় ভরা জ্যোৎস্নার ঝ’রে পড়া সবুজ
অরণ্যেয় ভাবনার জলাধারে, পথে পথে সর্বত্র শুনেছি ব্যর্থবিলাপ ব’য়ে
যাওয়া বিশাল নীলবীথি তাদের হৃদপিণ্ডে; বিস্ময়ে সরোবরের কোমলতায়
অমল পুণ্যময় জলে; শ্রদ্ধা আর স্পর্শের ভাষা প্রীতিময় হ’য়ে উ’ঠে একান্ত
আলিঙ্গনের সোনালী স্বপ্নে; নদী উপত্যকা পর্বত সবই বিকশিত মর্মর
                    
পল্লবের শিখরে, অন্তহীন অন্তরঙ্গতায় নিষ্ফল আমার বিষাদমাখা কাব্য;
বিস্মৃত গাঢ় দুঃখের গভীরে সুনিশ্চিত পুঞ্জীভূত পরিত্যক্ত আমার কণ্ঠস্বর
অমল আর গীতিময় সৌরভ শ্রুতিতে ভেসে আসে প্রার্থনার আকুল আহ্বানে;  
শোকার্ত আজ তাদের জন্য যারা অতীত হয়েছে গভীর স্বপ্নের মধ্যে রুপালী
দিনে; কিঞ্চিত ভাবনার প্রাজ্ঞতায় নক্ষত্রের সব আলো সীমাহীন নিরন্তর ফেলে
                    
আসা আমার পরিত্যক্ত দুর্ভেদ্য বিলাপ, অদৃশ্য ঘনিষ্ঠতা তাদের নিয়ে গেল সত্তার
মিশ্রিত অন্তঃসত্ত্বার সমতলে; অনির্বচনীয় আমি, একা পড়ে রই শব্দমালার গহীনে
রচিত কাব্যের ভেতর নিঃশব্দে কোমল সন্ধ্যাবেলায়, বাতাসে ভেসে বেড়ায় সুগন্ধ,  
যারা ভ’রে তোলে আমার ইন্দ্রিয়কে হৃদয়ের স্পন্দনে, বিপুল বিস্ময়ে আমি
দাঁড়িতে থাকি সীমানার বাইরে নির্বাসিত মননে, বৃষ্টিরধারা ঝ’রে যায় চতুর্দিকে।