সব আলো ভেঙ্গে সেই দিনের আলো শেষ হ’য়ে আসে, তারপরও অবশিষ্ট থেকে যায়,  
তার সামান্য কিছু আলো, যা দিয়ে হয়তো সারা
দিনের অবশিষ্ট আলো পূর্ণ হ’য়ে উঠে না, তারপরও থেমে গেছে,
থেমে গেছে পরিপূর্ণময় উজ্জ্বল আলো তার চতুর্দিকে পৃথিবীর দিকে,
সম্ভাবনাময় যা কিছু ক্ষনিকের জন্য আলোর বিচ্ছুরণের দ্রুতি,


তাও নিভে আসে আমার চতুর্দিকে উদ্ভাসিত সৌন্দর্য ছিঁড়ে যেন হারিয়ে
যায় চোখের কোণ থেকে; আমি তাকিয়ে থাকি, ভাবতে থাকি অনেক কিছু,
অম্লান চোখে প্রস্ফুটিত তার অবারিত ধারা যেন আমার দিকেই এগিয়ে আসে,  
সব কিছু পিছে ফেলে-মধ্যদুপুর গড়িয়ে ধাবিত হ’তে থাকে অজানা কোনো এক


গাঢ় অন্ধকার আমার আপন সৌন্দর্যে-নির্দিষ্ট আবর্তে, ক্ষণে-ক্ষণে উড়ে যায়
রচিত নষ্ট স্বপ্ন, কি সকাল বা সন্ধ্যায়, বুকের কোণ থেকে চিরদিনের মতো
হারিয়ে যায় চেনা কণ্ঠস্বর, সব চেনা রাস্তাও আমার জন্য হ’য়ে  
উ’ঠে বড় অচেনা, আপন ভেবে যেখানে পা রেখেছি কোমল হয়ে, ম্লান সুরে,
তাদের পথে তো আমি যাইনি, যারা আমার সৌন্দর্যে আঘাত করেছে সকাল আর


সন্ধ্যায়, সব কিছু অলৌকিক ভেবে তারা চলে যায় স্বপ্নের গভীর থেকে আরও
গভীরে, মধ্যদুপুরে রচিত কবিতা হ’য়ে উ’ঠে শুভ্র পদাবলী প্রেম ও সৌন্দর্যে;  
উজ্জ্বল আলো ঝ’রে প’ড়ে দ্রুতিময় প্রস্ফুটিত দিকে, তার সমস্ত কিছু যেন
মুহূর্তে হারিয়ে যায় অলৌকিক দিকে-স্বপ্নের পথে, স্নিগ্ধ দিনরাত আমার,
যত ব্যর্থতা ছড়ানো তার দিকে-দিকে, সবকিছু হারিয়ে যায় পৃথিবীর আপন পথে।