অনেকদিন কেঁপে উঠি না গভীর সৌন্দর্যের উজ্জ্বলতর ছড়ানো দিনে,
ভাবনার কল্পিত শরীরে, যারা চলে গেছে বিস্ময়কর সকল সম্পর্ক
নিস্তদ্ধতার রঙে ধুয়ে-মুছে দিয়ে; তাদেরই হৃদয়ের অলৌকিক ভাবনার
রূপান্তরিত সকল মর্মরধ্বনির আপন মহিমায় বেজে উ’ঠে উজ্জ্বল
সোনার আলোয় কল্পনার কঠিন তুলিতে, সীমাহীন অনুভূতির আশ্চর্য
শূন্যতায় গেঁথে থাকে অমল রাত্রির বিস্ময়কর সৌন্দর্যপবিত্র দিনে।


অনেক দিন কেঁপে উঠি না সীমাহীন ভাবনায় সাধারণ মানুষের মতো
দীপ্তিমান উজ্জ্বলতর আশ্চর্য চেতনায়; যারা রূপান্তরিত করেছে সকল
মৌনতার সুর, অর্থহীন শিল্পকলায় আদিগন্ত বিস্ময়কর ব’য়ে যাওয়া
স্রোতে নক্ষত্রপুঞ্জের গলিত স্বপ্নে; মর্মরধ্বনি উন্মুখ সকল ঐশ্বর্যে;
কল্পনার তুলিতে তাঁদেরই নিয়ে নিই যারা অনুভূতির সর্বত্র ছড়িয়ে
দেয় আমার ব্যথিত হৃদয়ে পঙ্কজের দিক চিহ্নহীন অমল পাপড়িতে।


অনেকদিন কেঁপে উঠি না আশ্চর্য সুখ বু’কে নিয়ে নিস্তব্ধতারহিমে;
জ্যোতির্ময় ঝ’রে পড়া কঠিন হৃদপিণ্ডে রূপালি জলে আপন আলোয়
বিগলিত অকস্মাৎ নিবিড় ছোঁয়ায়মেঘমালার নিঃশব্দের নীল মেঘে,
অমল সৌন্দর্য আমার নীল প্রজ্জলিত আদিম উৎসবে সঙ্গীতের সুরে;
রক্তজবা ফু’টে উ’ঠে শিশিরের ছোঁয়ায় কোমল ঠোঁটে ভরা বৃষ্টিতে
নিসর্গ সবুজে বেঁচে থাকে গ’লে পড়া সন্ধ্যার কুয়াশার সাদা হিমে।


অনেকদিন কেঁপে উঠি না উপলব্ধিময় একাকী বসে থাকা সীমানায়
চতুর্দিকে র’য়ে গেছে সৌন্দর্যের পরিপূর্ণতায় হৃদয়ের উল্লসিত নীল
স্রোতের উজ্জ্বল আলোর দিগন্তের প্রসারিত ছায়া; নিভৃতে প’ড়ে রই
ভাবনার শরীরে জ’মে থাকা কেঁপে-কেঁপে উঠা রোদনের কষ্ট ব’য়ে
যায় প্রাত্যহিক নির্বাসিত সোনালি জীবনে; নিসর্গমালা তাঁদের নিয়ে
যায় আমার হারানো আঁখিপাতে স্নিগ্ধময় গভীর মানবিক সম্পর্কে।