হয়তো বা সেই ঝর্ণাটি নিজের মতোই বয়ে যায়, যেমন জীবন,  
গ্রীষ্ম বর্ষা শীত  বসন্তে - হয়তো নিতান্ত অকারণ !


কৃষ্ণসার দীঘল চপল চরণ হরিণের  দল, যারা জল খেতে আজও ভিড় করে, রাতে,
আকাশের দিকে চোখ তুলে খুঁজে নেয় নিজস্ব গল্পগুলি,
স্বপ্নভেজা রজতাভ  পেলব আশার জোছনাতে -
হয়তো বা এখনো বর্ষার নিবিড় নিশীথে,
বজ্র বিদ্যুতে খেলে যায় দামিনী, রঙ্গরস ঝর্ণার সাথে - কত  !
অবিরত,
পৌষের রিক্ত হাওয়ায়,  নতুনের পাতাঝরা নীরব প্রতিশ্রুতি -
বসন্তে অভিসারিকার পদক্ষেপ, হাওয়ায় হাওয়ায়, হৃদয়ের কিছু দ্রুতগতি -
হয়তো বা আজ আছে - সেই সব অবিকল - অবিরাম - !


- হয়তো বা দীঘল চেরা পাতায় পাতায়, প্রান্তরে ছড়ানো থাকে,
অতল অপার স্নেহে লেখা তোর নাম - ! সেই নাম !  


হে জীবন,  আমিই সেথা যাই নাক আর - প্রবেশের অধিকার,
চাপা পড়ে হারিয়েছে, স্বার্থপর সময়ের বিস্মৃতির অতল আঁধার,
ভুলিয়ে নিয়েছে ! হয়তো বা  ফেলেছি ভুলে ধূলিধূসরিত ক্লান্ত পথে
সে চাবি সুখের দরজার,
রোজের এ ক্লেদক্লান্ত জীবনের সাথে আর কোনো পথ জোড়ে না’কো সেথা,
এই ব্যর্থ ব্যথা,
হিসেবের খাতা মেলানো যাবেনা কোনোদিন
কোনোদিন আর -!    
হে জীবন,  আমিই সেথা যাই নাক আর -
- কি করে যে হারালাম যা ছিল আমার !
জানিনা কে কেড়ে নিল, যা ছিল আমার !
কেবলই আমার !