আমিতো নিখাদ দারিদ্রতার গন্ধ গায়ে মেখে
দুর্বার গতিতে চলে যাই পৃথিবী থেকে গ্রহ নক্ষত্রে,
আমি আগ্নেয়গিরি করি শীতল কবিতার ছন্দে
আমি যে কবি সেই জন্ম থেকে।


চারিদিকে মানুষের ভীরে আমি একাকী বিষন্ন
আমি একাই সব কথা বলে যাই নিজের সাথে
বিপদ সংকেত দিয়ে যাই উত্তর থেকে দক্ষিণে পূর্ব থেকে পশ্চিমে
আমি তো কবি জন্ম থেকে।


চাল নেই চুলো নেই আমার হারাবার ভয় নেই
যা পেয়েছি তাই রবের নেয়ামত বলে আপন করেছি
কই? কেউ তো বলেনি এসো হাত ধরো ভালোবেসে
বলেনি কেউ তুমি তো কবি জন্ম থেকে।


কবির শখ থাকে না, রঙিন পোশাক থাকে না
থাকে না বন্ধু অথবা প্রিয়জন
কবিতো দুচোখের কাটা মরে গেলেই যেন যায় বেঁচে  
অথচ মরে গেলে বলে আহা এইতো ছিলো কবি জন্ম থেকে।


কবি খাবে পান্তা-পানি তাও দুমুঠো দিনে একবার
এক কামরার আবাস হবে ভাবে এইতো কবির জীবন
প্রতিবাদ? সে কি কবির ভূষণ? ছিঃ ছিঃ
এতো দেখি জন্ম থেকেই নির্লজ্জ কবি।


তবে শোন হে মানুষেরা, আমি রবের সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ
আল্লাহ ছাড়া কারো কাছে করি না শির নত
আমি ঢেউয়ের সাগর পাড়ি দেই শব্দের জোড়ে
আমি যে কবি সেই জন্ম থেকে।


ভয়কে ছুড়ে দেই আধারে, আলো দিয়ে করি জয়
অন্যায় রুখতে মানি না বাধা ছিনিয়ে আনি বিজয়
অত্যাচারীর গলাচেপে বের করি অহংকারের বড়ি
আমি তো জন্ম থেকেই জ্বলতে থাকা কবি।


দারিদ্র্যতা আমার হাতিয়ার অভাব আমার শক্তি
আমি শব্দে ভর করে অন্তরে পুতে দেই অনাবিল শান্তি
বুকে অজস্র কষ্ট নিয়েও পাহাড় সমান প্রেম লিখি
কারণ আমি যে জন্ম থেকেই কবি।


আমি চোখ বন্ধ করে দেখি সুদূর আগামী করি রাত ভোর।
লুটায়ে পড়ি রবের সিজদায় যিনি মালিক মোর।
আমি পৃথিবীতে ইতিহাস হয়ে থাকি হাজার বছর ধরে
আমি যে কবি সেই জন্ম থেকে।


আমি পিরামিড বেয়ে উঠি এভারেস্ট চূড়ায়
আরব সাগর পাড়ি দেই নাবিক ছাড়া নৌকায়
আমি শান্তির বার্তা দিয়ে যাই মহাকাশ থেকে কাদামাটির গর্ভে
আমি তো জন্ম থেকে কবি সর্বাঙ্গে।


আমাকে খুজবে হায় মরণের পরে, কাদবে
বলবে ভাই কি ছিলে তুমি বুঝিনি আগে
ব্যথা নিয়ে দিয়েছো সুখ, গড়েছো প্রেমের ভুবন
আহারে! তুমি ছিলে জন্ম থেকে কবি মোদের আপন।